নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নবাগত আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে মূল্যবান পয়েন্ট নষ্ট করেছে। শেখ জামালের এমেকা ও আরামবাগের আব্দুল্লাহ গোল করেন। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দু’দলের মধ্যকার এই ম্যাচটিতে উল্লেখযোগ্য দিক ছিল দুই লাল কার্ড। শেখ জামালের স্ট্রাইকার এমেকা ও আরামবাগের ডিফেন্ডার ইউসুফ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। দারুণ উপভোগ্য এই ম্যাচটি দেখতে গ্যালারিতে হাজির হন দুই সহস্রাধিক দর্শক। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শেখ জামালের কোচ মোশাররফ হোসেন বাদল বলেন, ‘এমেকা লাল কার্ড পাওয়ায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করাটাও মেনে নিতে পারছি না। যদিও আমাদের দলের কয়েকজন খেলোয়াড় ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত ছিল। এ কারণে তারা স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি। তারপরও এই ম্যাচে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়া উচিত ছিল আমাদের।’ তবে আরামবাগর কোচ সাইফুল বারী টিটু ম্যাচের ফলাফলে সন্তোষ করে বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে একজন ফরোয়ার্ড বাড়িয়ে ভালো ফল পেয়েছি আমরা। এ কারণে শেখ জামাল এগিয়ে থাকার পরও তাদের বিপক্ষে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছি আমরা।’ ম্যাচটি শুরুর আগে লীগের উদ্বোধন করেন বাফুফের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও লীগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী।
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। মাত্র তিন মিনিটেই ডি বক্সের অদূরে ফ্রি-কিক পায় তারা। কিন্তু সজিবের নেয়া শট শেখ জামালের সাইডবার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। তবে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম সুযোগটি হাতছাড়া করেনি শেখ জামাল। ম্যাচের ১৬ মিনিটে মিডফিল্ডার রকিবের সঙ্গে চমৎকার বোঝাপড়ায় আক্রমনে যান শেখ জামালের বিদেশি রিক্রুট এমেকা। এ জুটি নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাসে ডানপ্রান্ত দিয়ে হানা দেয় আরামবাগের দূর্গে। আরামবাগের ডিফেন্স ভেঙে ডি বক্সে ঢুকে পড়েই জোরালো শট নেন এমেকা। তার শট ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে আরামবাগের গোললাইন অতিক্রম করে। ১-০ তে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। ৩৫ মিনিটে গোল পরিশোধের সহজ সুযোগ মিস হয় আরামবাগের। তাদের বিদেশি স্ট্রাইকার কেস্টার আকন ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়েও ডিফেন্ডারদের বাধার মুখে গোল করতে ব্যর্থ হন। মিনিট পাঁচেক পর কেস্টারের মতো ব্যর্থ হন শেখ জামালের বিদেশি খেলোয়াড় ল্যান্ডিংও। ডি বক্সের ভেতরে ফাঁকায় বল পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হয় শেখ জামালের। বামপ্রান্ত থেকে কর্নার কিক করেন কেস্ট কুমার। উড়ন্ত বলে গোলমুখে হেড করেন ল্যান্ডিং। কিন্তু গোলকিপার মিতুল হাসানের হাত স্পর্শ করে বলটি ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। গোল বঞ্চিত হয় শেখ জামাল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ডিফেন্ডারদের ভুলে আরো একটি গোল হজম করতে বসেছিল আরামবাগ। ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শট নেন এমেকা। সেটি সাইডবারে লেগে ফিরে আসায় আবারও গোল বঞ্চিত হয় শেখ জামাল। ৬৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমনে যায় আরামবাগ। ৩৫ গজ দূরে থেকে মনসুরের চোখ ধাঁধানো শট গোলকিপার হিমেলের হাত ছোঁয়ে সাইডবারে লেগে ফিরে আসে। ফলে গোল পরিশোধের আরো একটি সুযোগ মিস হয় আরামবাগের। ১০ মিনিট পর আরামবাগের স্ট্রাইকার জাফর ইকবাল একক প্রচেষ্টায় ডি বক্সে ঢুকে দু’জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে যে শট নেন তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মিনিট চারেক পর আরামবাগের কেস্টার আকনের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলমুখে চমৎকার শট নেন মিডফিল্ডার আব্দুল্লাহ। কর্ণারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন শেখ জামালের গোলকিপার হিমেল। তবে পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা হিমেল দলকে শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে মনসুরের লম্বা পাস থেকে বল পেয়ে আরামবাগের আব্দুল্লাহ দারুণ শটে বল শেখ জামালের জালে জড়ান ১-১। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার দু’মিনিট আগে এমেকা মাথা গরম করে আরামবাগের বিদেশি ডিফেন্ডার ইউসুফকে ঘুষি মারেন। এতে রেফারি জালাল উদ্দিন শেখ জামালের স্ট্রাইকার এমেকাকে লাল কার্ড দেখান। সে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ইউসুফ এগিয়ে গিয়ে এমেককাকে গালি দিলে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের সুবাদে লাল কার্ড পান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।