নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : আসছে মৌসুমের জন্য ইংলিশ ফুটবল ভক্তদের নিশ্চয়ই তর সইছে না। কারণটাও স্পষ্ট, ডাগ আউটে সময়ের সেরা দুই কোচ ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পেপ গার্দিওলা আর হোসে মরিনহোর সেই মনস্তাত্বিক লড়াই দেখতে সবাই-ই এখন ব্যাকুল। এছাড়া, দু’জনই আবার একই শহরের দুই ক্লাব ম্যানচেস্টারের। সিটির গুরু গার্দিওলা আর ইউনাইটেডকে জাগাতে আনা হয়েছে মরিনহোকে। প্রিমিয়ার লিগে এবারের ম্যানচেস্টার ডার্বি তাই একটু ভিন্ন আমেজ তো ছড়াবেই। ম্যাচটি যতটা না ‘ম্যানচেস্টার ডার্বি’, তার চেয়েও যে অধিক ‘গার্দিওলা বনাম মরিনহো’। লিগের সেই লড়াই এখনো ঢের সময় বাকি। তবে, ডার্বিটা হচ্ছে আজই। শুধু মঞ্চটা সজ্জিত ভিনদেশে। বেইজিংয়ের বার্ডস নেস্ট স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি হবে তারা।
২০১২ সালে রিয়াল থেকে বিদায়য়ের পর মরিনহোর সাথে গার্দিওলার এটি দ্বিতীয় সাক্ষাত। স্পেনে গার্দিওলার দিকে ছুঁড়ে দেয়া ঝাঁঝালো সব কথার বান নিশ্চয় এখনো মনে রেখেছেন অনেক ফুটবল ভক্ত। এমনিতেই মরিহহো ‘ঠোঁটকাটা’ আর ‘চাচা-ছোলা’ কথার জন্য বিখ্যত পর্তুগিজ কোচ। তবে এই ম্যাচকে সামনে রেখে ওসব কিছুই মনে রাখছেন না গার্দিওলা। ‘মরিনহোর সাথে কি মোলাকাত করবেন?” এমন প্রশ্নের জবাবে গার্দিওলা বলেন, “অবশ্যই আমি তার সাথে মোলাকাত করব। কেন করব না? আমরা হলাম ভদ্র লোক। আমি চাই জিততে, তবে তিনি কেন নন।” গার্দিওলা বলেন, “এটা হল প্রীতি ম্যাচ। আসলেই একটি প্রীতি ম্যাচ।”
২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত দুই বছর লা লিগায় পরস্পর প্রতিপক্ষ ছিলেন এই দুই ফুটবল গুরু। দু’জনই লিগ শিরোপা জেতেন একটি করে। এসময় মোট ১১বার সাক্ষাৎ হয় তাদের। প্রথম ম্যাচে মরিনহোর রিয়ালকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল গার্দিওলার প্রতাপশালী বার্সেলোনা। সাকুল্যে ৫ বার জেতে বার্সা, রিয়াল ২বার বাকি ৪ ম্যাচ ড্র হয়।
এদিকে গত ক’য়েক সপ্তাহ ধরে চীনের রাজধানী নাকাল লাগাতার বৃষ্টিতে। বার্ডস নেস্ট স্টেডিয়াম থেকে তাই ট্রেনিং ক্যাম্প সরিয়ে আনা হয়েছে পাশের অলিম্পিক স্পোর্টস সেন্টারে। গার্দিওলাও চিন্তিত মাঠ নিয়ে। ৪৫ বছর বয়সী বলেন, “আমরা এখনো মাঠ দেখিনি, কিন্তু খবর জেনেছি, অবস্থা (মাঠ) খুব বেশি ভালো নয়।”
একই প্রশ্ন মোরিনহোকে করা হলে স্বভাবমতই ক্ষেপে যান তিনি। গণমাধ্যমকে এমন ‘অভদ্র প্রশ্ন’ এড়িয়ে চলতেও বলেন তিনি। ভিন্ন সুরে প্রশ্নের জবাবে মোরিনহো বলেন, “অবশ্যই আমি তার সাথে মোলাকাত করব। আমার আর গাদিওলার কাছে এমন প্রশ্ন করার মানে কি আমি বুঝলাম না। আমরা একসাথে বার্সেলোনায় কাজ করেছি এবং স্পেনে একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করেছি। এমন প্রশ্ন করার তো কোন কারণ আমি দেখছি না।”
গার্দিওলার মত মোরিনহোও চান বেইজিং থেকে চোটমুক্ত থেকে ঘরে ফিরতে। প্রতিদ্বন্দ্বীর মত তিনিও মাঠের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “মাঠের অবস্থা খুবই খারাপ এবং এই অবস্থায় ম্যাচের ফলের চেয়ে খেলোয়াড়রাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।