Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খেসারত দিচ্ছে ১০৭ কর্মকর্তা কর্মচারী

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২০, ১২:১১ এএম

কাজে যোগদানের সরকারি নির্দেশনার পরও দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১০৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যোগদান থেকে বিরত রেখেছে চীনা কোম্পানি। করোনা আতঙ্কের কারণ দেখিয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে তাদের। খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএসসির এক্সএমসির আপত্তির মুখে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে খনি কর্তৃপক্ষ। গত রোববার খনির তৃতীয় পক্ষের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্লুস্টারকে দেয়া খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক সানা উল্লাহর স্বাক্ষরিত পত্রে জানা যায়, খনির বাইরে অবস্থান করা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগামী ১৫ জুনন পর্যন্ত বিনা বেতনে ছুটিতে থাকবেন। মূলত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী গত দুই মাস (২৬ মার্চ থেকে) এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটিতে থেকে বেতন ভাতা পেলেও ১৫ জুন পর্যন্ত ছুটি দেয়া হয়েছে বিনা বেতনে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন কাজ নাই বেতন নাই চুক্তিতে কর্মরত খনির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, খনির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম কামরুজ্জামান বলেন, তৃতীয় পক্ষের অধীনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ আছে বেতন আছে, কাজ নাই বেতন নাই চুক্তিতে কাজ করেন। তাই ছুটিতে থাকা অবস্থায় তারা কোনো বেতন পাবেন না। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসির এক্সএমসির পরামর্শে তাদের কাজে যোগদান থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এদিকে একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আপত্তিতে কাজে যোগ দিতে পারছেন না খনির ভূগর্ভে কাজ করা ১১৪৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিকও। খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আমরা ছুটিতে ছিলাম। কিন্তু এখন কাজে যোগ দিতে সরকারি ঘোষণা এলেও আমরা কাজে যোগ দিতে পারছি না। আবার বেতনও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আন্দোলন করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কয়লাখনি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ