Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খুলনা শহরে নিখোঁজদের একজন বেশি সন্দেহজনক

শঙ্কায় অভিভাবকরা

প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : মহানগরী থেকে নিখোঁজ ৭ জনের মধ্যে দু’জন শিশু পরিবার বালক পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে নিখোঁজ। আর বাকিরা মান-অভিমান ও সাংসারিক মনোমালিন্যের জের ধরে নিখোঁজ বলে দাবি পরিবারের। তবে নিখোঁজদের মধ্য থেকে কোচিং সেন্টারের পরিচালক মাসুদ রানাকে সর্বোচ্চ সন্দেহভাজন তালিকায় রেখেছে পুলিশ। নিখোঁজদের সন্ধানে থানায় জিডি করলেও নানা আশঙ্কায় ভীতসন্ত্রস্ত তাদের অভিভাবকরা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, নিখোঁজ সাতজনের মধ্যে অন্যতম সন্দেহভাজন হলো নগরীর জিন্নাহপাড়া এলাকার ‘লিফট’ কোচিং সেন্টার পরিচালক মাসুদ রানা (২৭)। তাকে খুঁজে পেতে বিশেষ তৎপরতার সঙ্গে এগোচ্ছে পুলিশ। খালিশপুর এলাকায় বসবাস করলেও মাসুদ রানা গ্রামের বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলার অত্তাবুনিয়া গ্রামে। তিনি আব্দুল আজিজ সানার ছেলে। তিনি গত ফেব্রুয়ারি থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন।
খালিশপুরের মুজগুন্নী এলাকার কাজী মো. আতিয়ার রহমানের ছেলে কাজী মো. শাওন (২৬)। গত ১৫ মার্চের পর থেকে তার কোনো সন্ধান পাচ্ছে না পরিবার। সে বৈকালী মোড়ে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করত বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় খালিশপুর থানায় জিডি করেছেন তার বাবা।
খালিশপুর নিউ মার্কেটস্থ ইস্ট ব্লক ৪৬নং বাড়ির বাসিন্দা জহিরুল হকের ছেলে মো. সাইদুর রহমান (১৯) গত ২১ জুন নিখোঁজ হয়েছে বলে জিডি করা হয়েছে।
দৌলতপুর পাবলা সবুজ সংঘ মাঠ এলাকার বাসিন্দার মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে মো. মনির হোসেন (৩৫) গত ২৩ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায়ও জিডি করেন তার অভিভাবক। পাবলা কারিকরপাড়া এলাকার খন্দকার সাইফুর রহমানের ছেলে খন্দকার সোহেল সুলতান (২৫) নিখোঁজ হন গত বছর।
এছাড়া দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা এলাকার শিশু পরিবার বালক পুনর্বাসন কেন্দ্রের দুই কিশোর নিখোঁজ হয়। নিখোঁজদের একজন বাগেরহাটের দেপাড়াস্থ মৃত জব্বার মোল্যার ছেলে ইলিয়াস মোল্যা (১৫), অপরজন মৃত নূর ইসলামের ছেলে জাকির হোসেন হৃদয় (১৭)।
এ বিষয়ে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে দৌলতপুর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। তবে সংস্থার পক্ষে কেউ নিখোঁজের কারণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারছেন না।
শিশু পরিবার বালক পুনর্বাসন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক বিজন কৃষ্ণ শিকদার বলেন, জাকির হোসেন হৃদয়কে বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে এবং ইলিয়াস মোল্যাকে খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে শোধনাগার হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। দু’জনই চুরির অপরাধে বন্দি হয়েছিল বলে জানতে পেরেছিলাম।
নিখোঁজ শাওনের পিতা কাজী আতিয়ার রহমান বলেন, ‘শাওন মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতো। হঠাৎ সে জানি কোথায় নিখোঁজ হয়েছে। হয়তো সে অভিমান করেছে।’
খালিশপুর থেকে নিখোঁজ সাইদুর রহমানের মা শাহানারা বেগম বলেন, ‘সাইদুর দৌলতপুর জুটমিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। সে পরিবারের অমতে বিয়ে করার পর থেকে শ্বশুরবাড়ী হাউজিং বাজার এস লাইনে থাকতো। শ্বশুরবাড়ী থেকেই পহেলা বৈশাখের আগেই নিখোঁজ হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি বলেন, নগরীতে এখন পর্যন্ত ৭ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যে অন্যতম সন্দেহভাজন রয়েছে কোচিং সেন্টার পরিচালক মাসুদ রানা। তাকে খুঁজে পেতে বিশেষ তৎপরতার সঙ্গে এগোচ্ছে পুলিশ।
বিএল কলেজের সাবেক এক ছাত্র ৬ মাস নিখোঁজ রয়েছেন। জঙ্গি তৎপরতার কারণে কুয়েটের এক শিক্ষার্থীর নামে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়েছে। আটককৃত ওই ছাত্রকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা শহরে নিখোঁজদের একজন বেশি সন্দেহজনক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ