বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমনের অবনতি অব্যাহত রয়েছে। চিকিৎসক, নার্স ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সংক্রমন ক্রমশ বাড়ছে। ঈদের পর থেকে বরিশাল মহানগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় করেনা সংক্রমন শুরু হয়েছে । সোমবার দুপরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশালে মুলাদীতে ১জন করেনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় সুস্থ্য হয়েছেন আরো ৩ জন কোভিড-১৯ রোগী।
সোমবার দুপুরের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশাল, ঝালকাঠী, পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুরে নতুন করে আরো ৪৮ জন কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ৪০। এছাড়া ঝালকাঠীতে ৩, পটুয়াখালী ও পিরোজপুরে দুজন করে এবং বরগুনাতে আরো ১জন কোভিড-১৯ রোগী সনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬০৭-এ উন্নীত হল। গত ২৪ ঘন্টায় বরিশাল জেলায় আক্রান্ত ৪০ জনের মধ্যে ৩৫জনই মহানগরীতে। নগরীর বিভিন্ন এলকায় একই পরিবারের একাধীক সদস্যও করোনা সংক্রমিত হয়েছে।
গত ১০ মে লকডাউন শিথিল করার পর থেকেই দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে করেনা সংক্রমন বাড়তে থাকে। কিন্তু ঈদের আগে রাজধানী ও সন্নিহিত এলাকা থেকে নতুন করে দক্ষিণাঞ্চল মুখি জনশ্রোত শুরু হবার পরে পরিস্থিতি এখন আরো ভয়াবহ। এছাড়া ঈদের আগে দোকানপাট খুলে দেয়ার ফল পেতেও শুরু করেছে নগরবাশী। সোমবার সকাল পর্যন্ত বরিশাল জেলায় মোট আক্রান্ত ৩১৯-এর মধ্যে প্রায় আড়াই শতাধীকই মহানগরীতে। এরমধ্যে পুলিশ সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭৫ জনের মত। এছাড়া পিরোজপরে ৬৯, বরগুনাতে ৬৫, পটুয়াখালীতে ৫৮, ঝালকাঠীতে ৫৩ এবং ভোলাতে ৪৩ জন করেনা সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে দক্ষিণাঞ্চলে সংক্রমিত ৬০৭ জন করেনা রোগীর মধ্যে বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ১৬৭ জন। আর এপর্যšত হাসপাতাল ও বাইরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ১৪৪ জন। রবিবার মুলাদীতে ১জন সহ বরিশাল জেলায় করেনা সংক্রমনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দুই। অপরদিকে পটুয়াখালীতে ৩জন এবং ঝালকাঠী ও বরগুনাতে আরো ২জন করে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পিরোজপুর ও ভোলাতেও ১জন করে মারা গেছেন করেনা সংক্রমনে।
বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩১ মে ভর্তিকৃত ৫ রোগীর রক্ত পরিক্ষায় ৩ জনের করেনা সনাক্ত হয়েছে। ৩১মে পর্যন্ত হাসপাতালটিতে রক্ত পরিক্ষায় ৬৪ জনের করেনা সনাক্ত হয়েছে। ১৫০ জনের ফলাফল ছিল নেগেটিভ। দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলোতে এপর্যন্ত ভর্তিকৃত ৬৫২ জন রোগীর মধ্যে ৩০৬ জন সুস্থ্য হয়ে ছাড়পত্র লাভ করেছেন। আর এ অঞ্চলে করেনা আক্রান্ত রোগী মৃত্যুর সংখ্যা সোমবার পর্যন্ত ছিল ১০জন। এরমধ্যে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালালে করেনা ওয়ার্ডে মোট মৃত্যু ৩জনের। রবিবার পর্যন্ত শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ও করেনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ৩৬জনের মধ্যে ৩১জনই ছিল করেনা ওয়ার্ডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।