বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামে প্রথম প্লাজমা থেরাপি নেওয়া করোনা আক্রান্ত এক চিকিৎসক করোনামুক্ত হলেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সমিরুল ইসলামের নমুনা পরীক্ষায় রোববার রাতে করোনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে।
অসাধারণ মেধাবী এই চিকিৎসকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন অনেকে। এক পুলিশ সদস্যসহ দুই জন তাকে প্লাজমা দেন। তার করোনামুক্তির খবরে সবার মাঝে স্বস্থি ফিরে আসে।
২৬ মে সমিরুলকে প্রথম প্লাজমা প্রয়োগ করা হয়। করোনা চিকিৎসায় চট্টগ্রামে এটিই প্রথম প্লাজমা থেরাপি।
করোনাজয়ী চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সতি পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ তারেক এই মানবিক চিকিৎসককে প্রথমে প্লাজমা দেন।
দ্বিতীয় দফায় তাকে প্লাজমা দেন করোনাজয় করে ফেরা নগর পুলিশের প্রথম সদস্য অরুণ চাকমা। সর্বশেষ শুক্রবার তাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়।
এর পর তার অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হয়। রোববার তার নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসে।
চট্টগ্রামে করোনা মোকাবেলায় গঠিত কমিটির স্বাচিপের বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, ডা. সমিরুল এখন করোনামুক্ত। তবে তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
ডা. সমিরুল ইসলাম, তার স্ত্রী চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোনা ইসলাম ও তাদের দ্ইু সন্তান করোনায় আক্রান্ত হন।
শুরুতে তিনি বাসায় ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে ২১ মে তাকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়।
মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষের নেতৃত্বে সবধরনের চেষ্টার পরও অবস্থার অবনতি ঘটে। অক্সিজেনের সেচুরেশন কমে গেলে তাকে নিতে হয় আইসিইউতে।
শেষ চেষ্টা হিসাবে প্লাজমা থেরাপি দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। তার পরিবারের সদস্যরাও এখন সুস্থ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।