বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ট্টগ্রামে মহামারীতেও থেমে নেই খুনোখুনি। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দাপট। ঈদের দিনও লাশ পড়েছে। ঈদের ছুটিতে ৫ দিনে খুন হয়েছে ৮ জন। তুচ্ছ ঘটনা, পারিবারিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিরোধে খুনখারাবি লেগেই আছে। চলছে অস্ত্রধারী, মাদক কারবারিদের দাপট।
চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, গণধর্ষণের ঘটনাও ঘটছে। অব্যাহত অপরাধের বিস্তারে উদ্বিগ্ন পুলিশের কর্মকর্তারাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে এক সপ্তাহে তিনটি ‘বন্দকযুদ্ধে’ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে অনিয়ম, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক জরিপে দেখা গেছে, এসব ঘটনার ২০ দশমিক ৫ শতাংশই ঘটেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও মাইক্রোগভর্নেন্স রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের এই যৌথ জরিপ শেষে সস্প্রতি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
পুলিশের হিসাবে চট্টগ্রামে এক মাসে খুন হয়েছেন অন্তত ২৯ জন। সর্বশেষ গত বুধবার মধ্যরাতে নগরীর খুলশি থানার ঝাউতলায় ছুরিকাঘাতে সাব্বির (১৭) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে। নিহত সাব্বির ওই এলাকার মো. ইকবালের ছেলে। প্রতিবেশিদের সাথে কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
ঈদের দিন নামাজ শেষে ফটিকছড়ির খিরামে ইউপি সদস্য জব্বারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর জেরে প্রতিপক্ষের বাড়ি-ঘরে হামলা ও আগুন দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের বিরোধে ঘটে এমন হত্যাকাÐ।
জব্বার একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের প্রতিপক্ষ ছিলেন। পরে চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে দলীয় বিরোধে রাউজানে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতা বিতান বড়ুয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হাটহাজারীতেও এক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঈদের দিন বাঁশখালীতে সংঘর্ষে নিহত হন এরফানুল হক নামে এক যুবক। বাহারছড়ায় এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরো সাত জন। গত বুধবার নগরীর হামজারবাগে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে সাগর নামে এক যুবক খুন হয়েছে।
একই দিনে আনোয়ারায় মাসুদুল হক শিকদার নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী খুন হয়েছে। আগের দিন উপজেলার তালসরায় ইয়াছিন নামে এক যুবক খুন হয়। সীতাকুÐে রুহুল আমিন নামে এক বৃদ্ধ খুন হন। শনিবার ফটিকছড়ির ভুজপুরে দুই স্কুল ছাত্রীকে সিনেমা স্টাইলে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে আট সন্ত্রাসী। ওই রাতেই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন প্রধান আসামি হেলাল উদ্দিন।
১৫ মে বোয়ালখালীতে খুন হন নাসির উদ্দিন নামে এক যুবক। এ ঘটনায় গ্রেফতার শওকত হোসেনও ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান। গত ১২ মে তিনজন খুন হয় বাঁশখালীতে। সংঘর্ষে গুলিতে প্রাণ যায় দুই মাদরাসা ছাত্রের। এ জোড়া খুনের আসামি নুরুল আনসার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন সমাজে বৈষম্য এবং অস্থিরতা বাড়ছে। অস্থিরতা থেকে খুনের ঘটনা ঘটছে। লকডাউনে অনেকের আয় রোজগার বন্ধ, এতেও হতাশা বাড়ছে। পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বলেন, পারিবারিক কলহ ও স্থানীয় বিরোধে খুনের ঘটনা ঘটছে। প্রায় প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের রহস্য উদঘাটন করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।