বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের বেসরকারি ইম্পিরিয়াল হাসপাতাল ও ইউএসটিসির বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে।
করোনা সংক্রমণ এবং সেই সাথে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই দুই টি হাসপাতালকে কোভিড -১৯ হাসপাতাল ঘোষণা করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে আক্রান্ত বাড়ছে তবে সে তুলনায় শয্যা সংখ্যা অনেক কম।
চট্টগ্রাম জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে। মৃত্যুর সংখ্যা ৬০ অতিক্রম করেছে। করোনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে তিন দিন আগে এককভাবে চট্টগ্রাম ঢাকাকেও ছাড়িয়ে যায়।
সংক্রমণ এবং সেই সাথে মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় জনমনে ভয় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট চলছে। জেনারেল হাসপাতাল, চমেক হাসপাতাল,
ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে এখন কোন আইসোলেশন বেড খালি নেই। একই অবস্থা বেসরকারি ফিল্ড হাসপাতালেও।
চিকিৎসকরা বলছেন, সঙ্কটাপন্ন কোন রোগীর আসলে তাকে শয্যা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আইসিইউ সঙ্কটও প্রকট। জেনারেল হাসপাতালে মাত্র দশটি আইসিইউ চালু আছে। আইসিইউ শয্যা খালি না থাকায় সঙ্কটাপন্ন রোগীদের ভর্তি করা যাচ্ছে না।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি ব্যবসায়ী পরিবারের দুই ভাইকে একটি আইসিইউ ভাগাভাগি করে করে দেওয়া হয়েছে। জেনারেল হাসপাতালেই এমন সঙ্কটের মধ্যে মারা যান দেশের অন্যতম প্রধান শিল্প-বাণিজ্যিক গ্রুপ এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম। ছোট ভাই খোরশেদুল আলমের আইসিইউ সাপোর্ট খুলে তাকে দেওয়া হলেও ততক্ষণে তার ফুসফুসের কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে যায়।
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের মা, পুত্র, আরো চার ভাই এবং এক ভাইয়ের স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত। তাদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় হাসপাতালে শয্যা ও আইসিইউ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি। চমেক হাসপাতালে একশ শয্যা চালু হয়নি। বেসরকারি হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে লোকবলের অভাবে চিকিৎসা শুরু করা যায়নি।
এ অবস্থায় বেসরকারি ইম্পিরিয়াল ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল করোনা চিকিৎসার জন্য উন্মুক্ত করা হলো। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা, হাসান শাহরিয়ার কবির ইনকিলাবকে বলেন, দুটি হাসপাতালে প্রায় সাড়ে তিনশ শয্যায় করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া যাবে। আইসিইউ শয্যা আছে বিশটির বেশি। এতে শয্যা সঙ্কট থাকবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।