Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঝালকাঠিতে গৃহবধূর লাশ নিয়ে বিক্ষোভ স্বামী ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার দাবি

হত্যাকারীর পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০২০, ১১:০৮ এএম

ঝালকাঠিতে নির্যাতনের পর রুনা লায়লা নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য স্বামীর বিরুদ্ধে। গৃহবধূর লাশ নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে শুক্রবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নিহতের বাবা মা ও আত্মীয় স্বজনরা। মিছিল থেকে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় স্বামী ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। এ ঘটনায় রাজাপুর থানার ওসি হত্যাকারীর পক্ষ নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার বিকালে তাঁর স্বামী রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবীবুল্লাহ ও এম এম মাহমুদ হাসান সুষ্ঠু বিচার ও ওই ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা লাশ গ্রামের বাড়ি রাজাপুর উপজেলার ডহর শংকর গ্রামে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধূর বাবা আমির হোসেন গাজী অভিযোগ করেন, তাঁর ছোট মেয়ে রুনা লায়লার দশ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে আব্দুল কুদ্দুসের সাথে। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। তার মেয়ে জামাই কুদ্দুস মেম্বর নির্বাচন করার সময় শ্যালকের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। সেই টাকা পরিশোধ না করে সম্প্রতি আবারো দুইলাখ টাকা দাবি করে সে। টাকা না দেওয়ায় রুনা লায়লাকে নির্যাতনের পরে হত্যা করে কুদ্দুস। রুনা লায়লার শরীরে লাঠি দিয়ে পেটানো ও আয়রণ দিয়ে স্যাঁকা দেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। পরে আতœহত্যা বলে প্রচারণা চালায় ইউপি সদস্য কৃদ্দুস। রাজাপুর থানার ওসি জাহিদ হোসেনকে হত্যা মামলা নেওয়ার জন্য অনুনয় বিনয় করলেও তিনি হত্যা মামলা না নিয়ে অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করেছেন।
নিহতের ভাই মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে আসামী পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রাজাপুর থানার এসআই মো. শাহজাদা সরদার জোড় পূর্বক আমার শোকাহত বাবার স্বাক্ষর নিয়ে ইউডি মামলা করেছে। আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ইউপি সদস্যর বাড়ি থেকে তার স্ত্রী রুনা লায়লার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যদি হত্যার আলামত আসে তাহলে ইউডি মামলাই হত্যা মামলায় পরিণত হবে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার স্ত্রী ঘরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আতœহত্যা করেছে। পুলিশ গিয়ে সেই অবস্থা দেখে লাশ উদ্ধার করেছে। আমি তাকে কোন নির্যাতন করিনি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মান অভিযান থাকতেই পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউপি সদস্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ