পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভ‚য়সী প্রশংসা করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে গত ৩ বছর দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া দেখভালকারী প্রিন্সিপাল ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলিস জি ওয়েলস। বিশেষত নারীদের এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর অবদানকে স্মরণে রাখার মতো বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত বুধবার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন মন্ত্রী বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার তাতপর্যপূর্ণ অংশীদারিত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন। প্রায় সোয়া ঘণ্টার ওই আলোচনায় ভারত, পাকিস্তান, চীনসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ তথা আন্তঃরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়।
বাংলাদেশকে ডায়নামিক উদ্যোক্তা সোসাইটি আখ্যায়িত করে এলিস বলেন, বাংলাদেশে সামাজিক সূচকে অগ্রগতি এবং এ দেশের সত্যিকার সফলতার অনেক গল্প রয়েছে। আগামী দিনে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ওয়াশিংটনের প্রয়াস অব্যাহত রাখার কথাও জানান বিদায়ী ওই ক‚টনীতিক।
উল্লেখ্য, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩ মে এক টুইট বার্তায় জানান, ৩১ বছরের পেশাগত জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন অ্যাম্বাসেডর এলিস ওয়েলস। পম্পেও তার এই নির্ভরযোগ্য সহকর্মী সম্পর্কে এ-ও লিখেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া তিনি দেখভাল করছিলেন বলে আমি নির্ভার ছিলাম।
রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য প্রসঙ্গ
এদিকে মার্কিন মন্ত্রী এলিস জি ওয়েলস বহুবার বাংলাদেশ সফর করেছেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই দায়িত্বে আসার আগে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা টিমে (উপদেষ্টা) ছিলেন। তখনও বাংলাদেশ সফর করেছেন। তার আমলে বিশেষত গত তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেছেন। তাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখেছেন এবং বার্মায় থাকাকালীন রোমহর্ষক ঘটনাগুলো শুনেছেন। পুঞ্জিভ‚ত ওই সঙ্কট নিয়ে তিনি বিদায় বেলাও কথা বলেন। তার মতে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার এবং এ দেশের জনগণের উদার প্রতিক্রিয়া বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম দেশ যারা রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বৃহত্তম অবদান রাখছে। তবে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এর চেয়েও বড় অবদান রেখেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার প্রশংসা করে এলিস জি ওয়েলস বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেটি গত দশকে মানব সম্পদ উন্নয়নের পাশপাশি চমৎকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা করা হবে এমন আশ্বাস দিয়ে মার্কিন মন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে প্রায় সাড়ে ছয় বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে। যা বিশ্বের সকল সহায়তার ৬০ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।