মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরো ১০ জন
করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সাংবাদিক, শিক্ষক, হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, শিশু, নারী ও রিক্সা চালক রয়েছেন।
ইতিমধ্যে আক্রান্ত এক সেবিকা ও স্টোর কিপারের পরিবারের লোকজন আক্রান্ত হয়েছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২১ মে শুক্রবার আসা রিপোর্টে কমলগঞ্জ উপজেলার ১০ জনের
করোনা সনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে একজন সাংবাদিক, বিএএফ শাহীন কলেজ ও শান্তকুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক, কমলগঞ্জ হাসপাতালের একজন ওয়ার্ড বয়, ইতিমধ্যে আক্রান্ত এক সেবিকার শিশু কন্যা ও তার পাশের বাসার এক মহিলা, পতনঊষার ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা এক রিক্সা চালক এবং আক্রান্ত স্টোর কিপারের পরিবারের মেয়ে, শ্বাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন।
গত ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯ মে
করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। ইতিমধ্যে আক্রান্ত কমলগঞ্জের শমশেরনগরের বাসিন্দা মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে কর্মরত সেবিকার ফলাফল নেগেটিভ আসলেও তার শিশু কন্যা ও বাসার এক ভাড়াটিয়া নারীর ফলাফল পজেটিভ এসেছে।
এছাড়া কমলগঞ্জ হাসপাতালে কর্মরত স্টোর কিপারের ফলাফল দ্বিতীয় বার পজেটিভ আসে। একি সাথে স্টোর কিপারের মেয়ে, শ্বাশুড়ীসহ তার পরিবারের আরেকজনের ফলাফল পজেটিভ আসে। তারা মৌলভীবাজার শহরে বসবাস করছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম, মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া।
স্থানীয়রা মনে করেন যেভাবে কমলগঞ্জ উপজেলায়
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনগনকে আরও সচেতন হতে হবে। একি সাথে প্রশাসনকে আরও দায়িত্বশীল হয়ে জনগনকে সচেতন করতে হবে। এ নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলায় মোট ১৯ জন
করোনা আক্রান্ত হলেন। এর মধ্যে মাত্র কমলগঞ্জ হাসপাতালের এক অফিস সহকারী
করোনা মুক্ত হয়েছেন এবং একজন মৃত্যু বরন করেছেন।