Inqilab Logo

বুধবার, ১২ জুন ২০২৪, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আম্পানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি তবুও কাজ শুরু

দুর্যোগের সময় সাহসিকতাপূর্ণ অবিচল পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ১২:০৪ এএম

ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় এবার বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বিআরইবি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলা নিয়ে গঠিত ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করেছেন আরইবির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন।

আরইবির জনসংযোগ শাখার পরিচালক আনোয়ার হোসেন ইনকিলাবকে জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষতির আশঙ্কা থাকা ১৯টি পবিসে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে সেখানে ১০ জন করে অতিরিক্ত লাইন ক্রু মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কম সেসব এলাকা থেকে তাদেরকে বাগেরহাট, ভোলা, সাতক্ষীরা, খুলনাসহ আরও কয়েকটি জেলায় দেয়া হয়েছে। এছাড়া এসব এলাকায় জরুরি মুহূর্তের জন্য অতিরিক্ত ট্রান্সফরমার, ফিউজ, কাটআউট রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রতিটি এলাকায় সতর্কতা ও সার্বক্ষণিক নজরদারির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অবস্থা বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে গত সকালে ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করার পর অগ্রসর হয়েেেছ। ঝড়ের মধ্যে কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করা না হলেও উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানিগুলোকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে। ঝড়ের কারণে কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেলে অথবা তার ছিঁড়ে পড়লে তা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে কন্ট্রোল রুমে জানানোর জন্য জনগণকে আহŸান জানান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান।

দেশের প্রতিটি সমিতির ২০জন করে দক্ষ লাইনক্রু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অনেক এলাকায় তারা কাজ শুরু করেছে। ৩০ মিনিটের নোটিশে তারা আক্রান্ত সমিতিতে কাজ করতে পারে। উপক‚লীয় এলাকার সমিতিগুলোকে ঠিকাদারের ক্যাম্পে ঠিকাদার কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থা করেছে পল্লী বিদ্যুৎ। দুর্যোগকালীন সময়ে কাজে নিয়োজিত পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং অন্যান্য লোকবলের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার, পানি ও নগদ টাকা ব্যয় করেছে। করোনাভাইরাসে সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনর্বহাল কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তাদেরকে গত ২৪ মার্চে জারি করা পত্রের নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং লাইন মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মরত তত্ত¡াবধায়ক প্রকেীশলী ও নির্বাহীসহ পরিসভিত্তিক ঠিকাদারের লোকবল আছে কি না তা দেখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের (আরইবি) সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অঞ্জন কান্তি দাশ ইনকিলাবকে বলেন, আম্পানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হলাম আমরা। আমাদের গ্রাহক বেশি। উপকূলের অধিকাংশ জেলা বিদ্যুৎবিহীন। আমরা ঝড় কমার পর ভোর থেকেই মেরামতের কাজে নেমে গেছি। রংপুর, বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠিসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে কিছু কিছু করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। আরইবির গ্রাহকদের মধ্যে ঢাকার আশপাশ ছাড়া কমবেশি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, খুলনা, বরিশাল বেল্টে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। বিদ্যুতের খুঁটি প্রায় ২০০ টির মতো ভেঙেছে। অসংখ্য বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে বড় বড় গাছ পড়ে। বিকালের মধ্যে আরও বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্যোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ