পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনীর বিভাগের নেতৃত্বে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সার্বিক ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এর দিক নির্দেশনায় পূর্ব থেকেই সেনাবাহিনী ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। বর্তমানে তারা ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকাসমূহ অসামরিক প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করছে। আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলার নিমিত্তে সেনাবাহিনীর ১৪৬টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল স্বল্প সময়ে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
দুর্যোগ উপদ্রুত এলাকাসমূহে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে সেনাবাহিনীর ৭৬টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত স্থানসমূহে খাদ্য সহায়তা হিসেবে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১২,৫০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নিমিত্তে ১৬টি ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট ও ১৪টি ওয়াটার বাউজার প্রস্তুত রয়েছে। একই সাথে করোনা মোকাবেলায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর ১০২৭টি যানবাহনের সমন্বয়ে মোট ৫৩১টি টহল ৬২টি জেলায় অসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় প্রেরণ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এ সকল টহল দল এবং ইউনিটসমুহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য অসামরিক প্র্রশাসন এর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। নৌবাহিনী উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ জেলা ভোলা ও হাতিয়ায় দূর্গত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম নৌ জেটি ত্যাগ করেছে। অন্যদিকে খুলনা নৌ অঞ্চল হতে সাতক্ষীরার গাবুরা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও পূনর্বাসন কাজে সহায়তা জন্য ২২ সদস্যের একটি নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য ৭ সদস্যের একটি ডাইভিং টিম সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে গমন করেছে।
অন্যদিকে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এর দিক নির্দেশনায় বিমান বাহিনীর ১টি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, ১টি এমআই-১৭এসএইচ হেলিকপ্টার, ১টি অগাস্টা-১১৯ হেলিকপ্টার এবং ১টি বেল-২১২ হেলিকপ্টার এর মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপদ্রুত খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরগুনা, নোয়াখালি, ঝালকাঠি, কুয়াকাটা ও সুন্দরবন এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের উদ্দেশ্যে দ্রুততার সহিত পরিদর্শন করে।-আইএসপিআর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।