Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নেছারাবাদে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ভেসে গেছে সহস্রাধিক খামারের মাছ

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০২০, ৪:১৩ পিএম

নেছারাবাদে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ছোবলে পাঁচ শতাধিক মাছের ঘেড়,পুকুর তলিয়ে পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকার মাছ জোয়ারের পানিতে বেরিয়ে গেছে। জোয়ারের পানি প্লাবিত হয়ে ধান,পানের বরজ,শাকসবজি সহ কয়েক হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। গাছ পড়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ীর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। গ্রামের ভিতরে বন্যা ও জোয়ারের পানি প্লাবিত হয়ে কয়েক সহস্রাধিক কাচা ঘরের বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিশ জনেরমত মানুষ বন্যায় আহত হয়েছে।

জলোচ্ছাসের কারনে সবচেয়ে বড় কাঠ বাজার সন্ধ্যা তীরের মুক্তিযোদ্ধা ও স্বরূপকাঠি স্কুল চরের কাঠ ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হযেছে। পানি তোড়ে ভেসে গেছে অনেক মূল্যবান গাছ। সরেজমিনে ঘুরে এমন তথ্য জানাগেছে।

স্বরূপকাঠি পৌর সভার মেয়র মো. গোলাম কবির জানান, পৌর এলাকায় ৮ টি ঘরের ওপর গাছ পড়ে ঘরগুলো বিধ্বস্ত হয়েছে। স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়ন চেযারম্যান আল আমিন জানান তার এলাকায় ৭ টি ঘর একটি মসজিদের ওপর গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোহাগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান আব্দুর রশিদ জানান তার ইউনিযনে ৮ ঘরের ওপর গাছ পড়ে ঘরগুলো বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ীর মাটির ভিটি পানিতে ভেসে যাওয়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে।গুয়ারেখা ইউনিয়ন পরিসদেও চেযারম্যান সুব্রত ঠাকুর জানান ওই ইউনিয়নে ১০ ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বহু পুকুর ও পোলট্রি খামারের সাথে থাকা মাছ পানিতে ভেসে গেছে। পেয়ারা গ্রাম আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান শেখর সিকদার বলেন তার ইউনিয়নে ঘরবাড়ীর তেমন ক্ষতি হয়নি। শতাধিক পানের বরজ এবং কয়েক শত হেক্টও জমির সব্জি খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পেয়ারা ও আমড়া গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পোলট্রি খামারী আব্দুর গাফফার, জাকির হোসেন ও নাসির তালুকদার জানান উপজেলার প্রায় সহস্রাধিক পোলট্রি খামারের নিচে মাছ চাষের প্রকল্প রয়েছে। এর বেশির ভাগ খামারের মাছ পানির তোড়ে ভেসে গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়বায়ন কর্মকর্তা মানস কুমার দাস জানান, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে পৌরসভা ও ১০ ইউনিয়নে ঘুর্নিঝড়ে ১৯ জন আহত হয়েছে।। ২২০ টি বাড়ী ঘর, ৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ৬০ টি নলকুপ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ২১৫ টি, ১১০ টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কৃষি খাতে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা,খামার ১০ লাখ টাকা গবাদি পশু পৌনে ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারেফ হোসেন জানান, ঘুর্নিঝড় থেমে যাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য প্রাথমিক ভাবে জেলায় পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘূর্ণিঝড় আম্ফান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ