বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা উদ্বেগের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরউজ্জামান সভাপতিত্বে গত রোববার দুপুরে ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর আজ বুধবার রাজাপুর উপজেলা সহ ঝালকাঠি জেলাকে ১০ নম্বর মহাবিপদ বিপদ সংকেত ঘোষনা করেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ বলেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্থানীয় ব্যক্তিরা যাতে আশ্রয় নিতে পারেন, সে জন্য ১৫ টি সাইক্লোন শেল্টার কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতে সার্বক্ষনিকভাবে তদারকি করার জন্য উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রনকক্ষ খোলা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময় ক্ষয়ক্ষতি বা খাদ্য সংকট দেখা দিলে নিয়ন্ত্রন কক্ষের (০১৭১২৬২৯৫৮৫)নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ঘূর্নিঝড় আমফান বিষখালী নদীর তীরবর্তী ২টি ইউনিয়নের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী থাকায় ওই সব ইউনিয়নের প্রতি বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি ইউনিয়নে ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর কাজ করার জন্য ১২/১৫ জনের একটি সেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগের পরিস্থিতি বিবেচনা করে এর সংখ্যা বাড়ানো হবে।
এদিকে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে সর্বসাধারনকে।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হাওলাদার হোমকোযারেন্টে আছেন।তিনি বলেন,দায়িত্বশীল একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘূর্নিঝড় আমফানের আঘাত মোকাবিলা করার জন্য উপজেলা প্রশাসন সম্পূর্নভাবে প্রস্তুত রয়েছে। ইতিমধ্যে ৬ ইউনিয়নের জন্য ১৫ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সার্বিকভাবে দেখাশুনার জন্য কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা রয়েছে ফায়ার সার্ভিসও । তাছাড়া স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে সার্বিকভাবে তদারকি করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।মঠবাড়ি ইউপি চেয়্যারম্যান মোঃ মোস্তফা কামাল সিকদার জানান- আমার ইউনিয়নের ৪ টি আশ্রয় কেন্দ্রে গতকাল ৪০০ জনের খাবার দেয়া হয়েছে।বিশখালী এলাকার মানকি,সুন্দর, ডহরসংকর, বাদুরতলা এলাকার নারী, শিশু সহ গবাধি পশুআশ্রয কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে।রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়্যারম্যান মোঃ মনিরউজ্জামান এর সাথে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মুঠো ফোনে বলেন- সব কিছু প্রস্তুতি নিয়ে হয়েছে। ঘূর্নিঝড়ে আমফান মোকাবেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে।মেম্বর, চৌকিদার সহ সেচ্ছাসেবক রযেছে।রাতে খাবারের জন্য রান্না করা হচ্ছে।সাইক্লোন শেল্টারে অবস্হানরত তাদের খাবার অব্যাহত আছে।এ দিকে আমফালের প্রভাবে প্রচন্ড বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ৩/৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।, বৃস্টি,হচ্ছে, মেঘে অন্ধকারে আচ্ছন্ন।রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বিদ্যমান আছে।উপজেলার সকল মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।