আরআরআরসি মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা ও সম্ভব সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দেশে গত ৮মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা হলেও এরপর দীর্ঘ ৬৬দিন যাবৎ রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে কোন করোনা ভাইরাস রোগী পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, গত ১৪মে থেকে পর পর ৫জন রোহিঙ্গা শরনার্থীর মধ্যে করোনা ভাইরাস জীবাণু পাওয়া গেলেও তখন থেকে প্রশাসন এবিষয়ে আরো নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কঠোর থেকে কঠোরতম অবস্থান নিয়েছে। রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ যেকোন ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় ও সীমিত পর্যায়ে থাকে।

এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে কর্মরত দেশের প্রশাসন ছাড়াও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, আইএনজিও এনজিও সংশ্লিষ্ট সকলের ভূমিকা নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য।

উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ৫ নম্বর ক্যাম্পে জাতিসংঘ উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন ইউএনএইচসিআর এর আর্থিক সহায়তায় ক্যাম্পের অভ্যন্তরে স্থাপিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট প্রথম অত্যাধুনিক ও পরিপূর্ণ কোভিড-১৯ হাসপাতাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার এ কথা বলেন।

সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে কক্সবাজার আরআরআরসি অফিস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রিমোর্ট চেপে ক্যাম্পে নব নির্মিত এ কোভিড হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন আরআরআরসি । এটি কক্সবাজারের অভ্যন্তরে প্রথম কোন স্থাপনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করা হলো।

সোমবার (১৮মে) অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত আরআরআরসি মোঃ শামসুছ দ্দৌজা, মোজাম্মেল হক, ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ ওবায়দুল্লাহ, ইউএনএইচসিআর-এর অফিসার ইনচার্জ ইনাকু টুকি, স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. সান্দ্রা, উর্ধ্বতন কর্মকতা ইফতেখার উদ্দিন বায়েজীদ, ফুড ফর দ্যা হাঙ্গেরির প্রতিনিধি, আরআরআরসি অফিসের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু তোহা এম আর ভূঁইয়া প্রমুখ।

(SARI Isolation & treatment center) শারী আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার নামের অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত এই কোভিড হাসপাতালটি কক্সবাজারের প্রথম পরিপূর্ণ একটি কোভিড হাসপাতাল।

হাসপাতাটি নির্মাণে অর্থ সহায়তা দেওয়ায় আরআরআরসি মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার ইউএনএইচসিআর কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।

ইউএনএইচসিআর-এর উর্ধ্বতন কর্মকতা ইফতেখার উদ্দিন বায়েজীদ জানান, এই হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গা শরনার্থী (
রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।