Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফুলপুরে ডাক্তার ও স্বেচ্ছাসেবক করোনায় আক্রান্ত, ২ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২০, ১০:০৩ এএম

ময়মনসিংহের পিসিআর ল্যাবে সোমবার নমুনা পরীক্ষার পর ফুলপুর উপজেলা সদরের নূরাণী রোডের ডাক্তার সিফাত জাহান (২৮) ও মাগন ফুলপুরের স্কাউট সদস্য স্বেচ্ছাসেবক ইসতিয়াক আহমেদ টুটুল (১৬) নামে ২ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। ডাঃ সিফাত জাহান (২৮) ফুলপুর পৌর এলাকায় এ্যাপোলো ডায়াগনোষ্টিক ও বসুন্ধরা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে বসে রোগী দেখতেন এবং স্কাউট সদস্য ইসতিয়াক আহমেদ টুটুল ফুলপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করা হবে বলে জানিয়েছেন ফুলপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে তাদের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তাদের বাসা ও আশপাশ এলাকাটিকে বিশেষভাবে বিধিনিষেধের আওতায় আনা হয়েছে এবং এ্যাপোলো ডায়াগনোষ্টিক ও বসুন্ধরা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার লকডাউন করা হয়েছে।
ডাঃ সিফাত জাহান ও স্কাউট সদস্য ইসতিয়াক আহমেদ টুটুলকে নিয়ে এ পর্যন্ত ফুলপুরে ৯ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। এর মাঝে ১ জন মারা যায় এবং ৩ জন ইতোমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন।

এর আগে ১০ এপ্রিল বালিয়া ইউনিয়নের কাইচাপুর গ্রামে আব্দুল কাদির (৫৫) নামে এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছিল। সে ময়মনসিংহ এসকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ই এপ্রিল মারা যান। গত ১৯ এপ্রিল রবিবার কাজিয়াকান্দা গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক মোঃ জহিরুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবকের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। তাকে ময়মনসিংহে এসকে হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছিল এবং ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার কাইচাপুর গ্রামের করোনায় নিহত আব্দুল কাদিরের সংস্পর্শে আসা বেলটিয়া বালিয়া গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মী রফিকুল ইসলাম(৫০), বিলাসাটী গ্রামের চুল কাটা নাপিত আল আমিন (৩০) ও ২৮ এপ্রিল বেলটিয়া বালিয়ার ইরাজ খাঁর করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে। ১৫ মে কাতুলী গ্রামের আঞ্জুমান আরা (৪০) ও ফুলপুর পৌর শহরের পুরাতন ডাকবাংলা এলাকার ফিরোজ খানের করোনা পজেটিভ ধরা পরে। এদের মাঝে কাজিয়াকান্দা গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক মোঃ জহিরুল ইসলাম (২৫), বেলটিয়া বালিয়া গ্রামের স্বাস্থ্যকর্মী রফিকুল ইসলাম(৫০), বিলাসাটী গ্রামের নাপিত আল আমিন (৩০) সুস্থ্য হয়েছেন।

ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিটি ইউনিয়নে কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করার সময় ডাঃ সিফাত জাহান ও স্কাউট সদস্য ইসতিয়াক আহমেদ টুটুলের নমুনা সংগ্রহ করে ১৭ মে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে অবস্থিত পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সোমবার (১৮ মে) নমুনা পরীক্ষার পর উক্ত ব্যক্তিদের করোনা ভাইরাস পজেটিভ পায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে অবস্থিত করোনা শনাক্ত করণের পিসিআর ল্যাব। তিনি আরও জানান, উক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে এসকে হাসপাতালের আইসোলেশনে বা ফুলপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হবে না। মৃদু উপসর্গ থাকায় তাদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। সেই সাথে এ্যাপোলো ডায়াগনোষ্টিক ও বসুন্ধরা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ