Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শাক-সবজি ও ফল সংরক্ষণে রেফ্রিজারেটর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০২০, ৭:২৬ পিএম

করোনাভাইরাসের প্রকোপে পুরো বিশ্ব বিচলিত। প্রতিদিনই ভাইরাসটির সংক্রমণে মানুষের আক্রান্ত হওয়া ও মারা যাওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের চিত্রও এর ব্যতিক্রম নয়, বরং এদেশে করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ (সোশ্যাল ট্রান্সমিশন) সম্প্রতি আরও বেড়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে জনগণকে শুরু থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সুপারিশ মনে চলার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভাইরাসটির প্রতিষেধক আবিষ্কারের লক্ষ্যে থেমে নেই গবেষকদের প্রচেষ্টা। হয়তো খুব শিগগিরই উদ্ভাবন হবে মারণ করোনার ওষুধ ও টিকা। তবে, এর আগ মুহ‚র্ত পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আমাদের জরুরি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত করতে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর, ইমিউনিটি বা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শাক-সবজি ও ফলমূলের মতো পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন। দেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্রতম রমজান মাস শুরু হয়েছে। এসময় দীর্ঘসময় পানাহার থেকে বিরত থাকা মানুষগুলোর পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ খুবই জরুরি, যা একইসাথে তাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে ও শরীরে যোগাবে পুষ্টি।

দীর্ঘসময় খাদ্যসামগ্রী সরক্ষণের কিছু পরামর্শ:

রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা

রেফ্রিজারেটরে দীর্ঘসময় খাবার সংরক্ষণের জন্য আপনার রেফ্রিজারেটরের একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। এই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের (৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) নিচে হতে পারে। এবং ফ্রিজারের তাপমাত্রা হওয়া উচিৎ শূন্য ডিগ্রি ফারেনহাইট (-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। যা খাদ্যসামগ্রীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করবে এবং দ্রæত পচনশীল খাদ্যসমাগ্রীকে দীর্ঘক্ষণ সংরক্ষণে সাহায্য করবে। রেফ্রিজারেটরের ভেতরের দিক অর্থাৎ পেছনের অংশ সবসময় দরজার অংশের চেয়ে বেশি পরিমাণে ঠান্ডা হয়। তাই, দুগ্ধজাতীয় খাবার রেফ্রিজারেটরের পেছনের অংশে এবং মশলা, আচার, চাটনি, মেয়োনেজ প্রভৃতি রেফ্রিজারেটরের দরজার পাশের অংশে রাখলে এসব খাদ্যসামগ্রী দীর্ঘসময় সংরক্ষণ করা যাবে। কিছু কৌশল আপনাকে জানতে সাহায্য করবে যে, মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও বিশেষ করে পচনশীল খাদ্যসামগ্রী আপনার জন্য নিরাপদ কিনা। সম্প্রতি, মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে এমন কিছু ডিম থেকে একটি ডিম নিয়ে এক গ্লাস পানিতে ফেলুন, যদি আপনি দেখতে পান ডিমটি পানিতে ডুবে গেছে, তবে এটি খাবার উপযোগী অর্থাৎ নিরাপদ। আর যদি ডিমটি ভেসে থাকে তবে ধরে নিবেন এটি খাওয়ার জন্য পুরোপুরি অনিরাপদ।

প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করুন

এই প্রতিক‚ল সময়ে পণ্য ও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি চিন্তা করে আমরা অনেকেই নিজেদের চাহিদার তুলনায় অধিক পরিমাণে পণ্য সামগ্রী ক্রয়ের চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে, অনেক সময় বিপত্তি ঘটে। কেননা, ক্রয়কৃত খাদ্যসামগ্রীগুলো পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রেফ্রিজারেটরে রেখে দীর্ঘদিন খাওয়া যায় এমন সব খাদ্যসামগ্রীও প্রয়োজন অনুযায়ী ক্রয় করা উচিৎ। যাতে এই সঙ্কটকালীন সময়ে সবাই সমানভাবে পণ্য ক্রয় করতে পারে।

খাদ্য সামগ্রীর সজীবতা বজায় রাখতে রেফ্রিজারেটর হতে পারে কার্যকরী সমাধান। স্যামসাংয়ের রেফ্রিজারেটরগুলো ১৫ দিন পর্যন্ত খাদ্যসামগ্রীকে সতেজ রাখে, খাবার রাখার জন্য রেফ্রিজারেটরগুলোতে রয়েছে অনেক জায়গা। এছাড়াও, স্যামসাংয়ের রেফ্রিজারেটরগুলো খাবারকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। এসব দিক বিবেচনা করেই এই প্রতিকূল সময়ে এগিয়ে এসেছে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিকস বাংলাদেশ। অনলাইনে ছাড় সুবিধাসহ রেফ্রিজারেটর ক্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই চ্যালেঞ্জিং সময়েও স্যামসাংয়ের অফিসিয়াল ই-স্টোর থেকে নির্দিষ্ট মডেলের রেফ্রিজারেটর ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতারা পাবেন হোম ডেলিভারি সুবিধা।

এ নিয়ে স্যামসাং বাংলাদেশের হেড অব কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, “কোভিড-১৯ এর কারণে দেশে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটি চলাকালীন সময়ে স্যামসাং অনুমোদিত যেসব পণ্যের ওয়্যারেন্টির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে সেসব পণ্যের ওয়্যারেন্টির মেয়াদ আমরা ইতিমধ্যেই এক মাস বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছি। এছাড়াও, এই প্রতিকূল সময়ে ক্রেতাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে, স্যামসাংয়ের অফিসিয়াল ই-স্টোর থেকে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে হোম ডেলিভারির সুবিধা নিয়ে এসেছি, যাতে করে ক্রেতারা নিরাপদে বাসায় বসেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারেন।“



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ