নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আইনী জটিলতায় ঝুলে গেছে সউদী আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মালিকানা কেনার প্রক্রিয়া। এসবের ভেতর ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমের খবর, ঐতিহ্যবাহী ক্লাব এএস রোমা কেনার প্রস্তাব পেয়েছেন এমবিএস।
৩০০ মিলিয়ন পাউন্ডে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের ৮০ শতাংশ মালিকানা কেনার কথা চলছে প্রিন্স সালমানের তত্ত্বাবধানে থাকা সউদীর পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের। কিন্তু কাতারের বিইন স্পোর্টসের করা পাইরেসি মামলায় আটকে গেছে সব। সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, এএস রোমার বর্তমান মালিক জেমস পালোত্তা নতুন ক্রেতা খুঁজছেন। গত দুই বছর ধরে রোমাকে বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করছেন আমেরিকান এই বিজনেস ম্যাগনেট। সম্ভাব্য ক্রেতার তালিকায় তার পছন্দ প্রিন্স বিন সালমানকে। যদিও পালোত্তা এখনো বিশ্বাস করেন মোহাম্মদ বিন সালমান নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মালিক হবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সালমান যদি নিউক্যাসল কিনতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে পারে রোমা। বর্তমানে ইতালিয়ান সিরি আ ফুটবল লীগে পয়েন্ট তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে রোমা। নিয়মিত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ খেলছে ক্লাবটি। পালোত্তার বিশ্বাস এমবিএসের জন্য ভালো একটি অপশন হতে পারে রোমা।
দ্য সান আরও জানিয়েছে, প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নিউক্যাসল ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে আগামী সপ্তাহে। সউদীর একটি স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ককে কাতারের স্পোর্টস চ্যানেল বিইন স্পোর্টস-এর লিংক পাইরেসিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতার অভিযোগা রয়েছে বিন সালমানের বিরুদ্ধে। এছাড়া ইংল্যান্ডের মানবাধিকার সংস্থাগুলোও চায় না তিনি প্রিমিয়ার লীগের মালিক হন। তাদের দাবি, খেলাধুলার সঙ্গে জড়িয়ে নিজের যাবতীয় কুকর্ম ঢাকার চেষ্টা চালাচ্ছেন যুবরাজ সালমান। গত সপ্তাহে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে প্রিন্স সালমানের হাতে তুলে না দিতে অনুরোধ করেন খুন হওয়া সউদী সাংবাদিক জামাল খাশোগির প্রেমিকা হাতিস চেংগিস। এক খোলা চিঠিতে নিউক্যাসল ভক্তদের কাছে হাতিস আকুতি জানান, তারা যেন এই মালিকানা আটকে দেয়। এর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ কর্তৃপক্ষের প্রতিও একই আহবান জানিয়েছিলেন তিনি।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সউদী কনস্যুলেটের মধ্যে ২০১৮ সালের ২রা অক্টোবর খুন করা হয় ভিন্নমতাবলম্বী সউদী কলামিস্ট জামাল খাশোগিকে। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিশ্বাস, বিন সালমানই তাকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।