Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লালপুরে যেনো করোনা নেই!

লালপুর (নাটোর ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০২০, ১২:৫৩ পিএম

দেশ ব্যাপী ১০ মে থেকে লকডাউন শিথিলের ফলে নাটোরের লালপুর উপজেলার প্রতিটি বিপনী বিতান ও রাস্তা ঘাটে বৃদ্ধি পেয়েছে জনসমাগম কোথাও মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব। দৃশ্যপট দেখে মনে হচ্ছে লালপুর যেনো করোনা মুক্ত। সরকারী নির্দেশনা মেনে গত ১০ তারিখ থেকে লালপুর উপজেলায় স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে ব্যবসাপ্রতিষ্টান চালুর সিদ্ধান্ত দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। তবে সীমিত পরিসরে দোকান পাট খোলার কথা বললেও উপজেলার প্রতিটি বাজারে খুলতে শুরু করেছে সকল প্রকার দোকান পাট। আর সেই সাথে প্রতিনিয়োত বিপনী বিতান ও রাস্তাঘাটে বেড়ে চলেছে জনসমাগম কোথাও নেই করোনা ভীতি।
শনিবার (১৬ মে) সকাল থেকে উপজেলার লালপুর ও গোপালপুর বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ১০টা থেকে প্রায় সকল প্রকার দোকান গুলি খুলতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। আর দোকানে ভীরজমাতে শুরু করেছে ক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের অধিকাংশই ছিলো মহিলা। কোন কোন দোকানে বড় আকারে লিখা রয়েছে ‘নো মাক্স, নো সেল’ তবে শুধু লেখাই রয়েছে কাজে নেই। প্রতিটা দোকানে গাদাগাদি করে ক্রেতারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করেছেন কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে থানা পুলিশ উপজেলার প্রতিটি সড়কে বসিয়েছে চেকপোষ্ট, সড়কে সড়কে পুলিশের পিকআপে করে করছে মাইকিং সেই সাথে প্রতিনিয়োত সেনাবাহিনী উপজেলা জুড়ে চালাচ্ছে টহল তার পরেও মানা হচ্ছেনা সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি এতে লালপুরে করোনা সংক্রামন আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার আমিনুল ইসলাম জানান, ‘স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মানার ফলে লালপুরে ব্যাপক হারে করোনা ভাইরাস সংক্রামিত হতে পারে।’ তিনি আরো জানান, ‘ইতি মধ্যে লালপুর উপজেলায় ৩জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ও ১৭১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আজও নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে।’
লালপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মাহামুদুল হক মুকুল বলেন,‘ কোন কিছু করে বাজারে মানুষের সমাগম রোধ করা যাচ্ছেনা। কেউ স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব মানছেন না। করোনা প্রাদুভাব রোধে অতিদ্রত বাজারের দোকান বন্ধ করতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।’
গোপালপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি বদিউর রহমান বদর বলেন,‘দোকান পাঠ খোলার জন্য যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা খুব সিমিত হওয়ার জন্য মানুষের ভীড় বেড়েছে। অনেক বলেও মানুষ শুনছেন না। সচেতন না হওয়ার জন্য কেউ স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব তেমন মানছেন না।’
লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন,‘সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়োত উপজেলা প্রতিটি সড়কের গুরুত্বপৃর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘর থেকে বের না হতে প্রতিনিয়োত মাইকিং করা হচ্ছে। তার পরেও মানুষ বের হচ্ছে বলে জানান তিনি।’
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি জানান,‘উপজেলার ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে স্বাস্থ বিধি ও সামাজিক দুরত্ব মানার অঙ্গিকার করে সীমিত পরিসরে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে প্রতিটি বাজর মনিটরিং করবে উপজেলা প্রশাসন। যদি কেউ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মানে তার বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ