গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সায়ীদ আবদুল মালিক : শ্রাবণের ভারিধারায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোড, জয়নাগ রোড, ওয়ারী, লক্ষ্মিবাজার, রায়সাহেব বাজার, লালবাগ, মগবাজার, শান্তিনগর, বাসাবো, যাত্রাবাড়ী, সুত্রাপুর, রামপুরা, মুগদাপাড়া, মানিকনগর মতিঝিল, মোহাম্মদপুর ও মিরপুরসহ নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে পানি থৈ থৈ করছে। লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রবল বর্ষণে নগরীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে চরম ভোগান্তির। গতকাল বিকালে একটানা প্রায় এক ঘণ্টার মতো রাজধানীতে ভারী বৃষ্টি হয়। এতে ছুটির দিন বিকেলে নানা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে নগরবাসীকে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় যানবাহনও ছিল কম। রাস্তায় রিকশা চলাচল করলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হয়েছে যাত্রিদের।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টার পর থেকে মুশুলধারে ভারী বৃষ্টি হতে থাকে। এতে রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় বাস, ট্যাক্সিসহ গণপরিবহন কম দেখা গেছে। খানাখন্দকেভরা রাস্তায় রিকশা-ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। কেউ কেউ ছোট বড় আহতও হয়েছে। স্যুয়ারেজ লাইন ও সিটি কর্পোরেশেনের ড্রেনের উপচেপড়া পানি রাস্তাঘাট ও বাসা বাড়ির পানিতে একাকার হয়ে গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সন্ধ্যার ব্যাংকপাড়া মতিঝিলের বনশিল্প ভবন ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আশপাশে দেখা গেছে হাঁটু পানি। অধিকাংশ স্থানে সৃষ্টি হয়েছে পানিবদ্ধতার। সময়মতো পানি নেমে না যাওয়ায় প্রধান প্রধান সড়কে পানি জমে গেছে। বৃষ্টির পানি জমে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর মৌচাক, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি ২৭, আজিমপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকায়। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় গাড়ি চলাচলেও সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে মাঝে মাঝে যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও সড়কের ম্যানহোলের ঢাকনা না থাকায় অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। আবার পানিবদ্ধতার কারণে কোথাও কোথাও যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে থাকতেও দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর ফকিরাপুলে একটি হিউম্যান হলার বিকল হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বৃষ্টিতে রাজধানীর উত্তরা, বারিধারা, বাড্ডা, ফকিরাপুল, পল্টন, মালিবাগ, শান্তিনগর, মগবাজার, বসুন্ধরা সিটির সামনে, মিরপুর, মহাখালী, কাজীপাড়া, শ্যামলী, শেওড়াপাড়া, মতিঝিল, ধানমন্ডি ও গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাজধানীতে পানি জমে যাওয়া নতুন কিছু নয়। অথচ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের এ নিয়ে তেমন কোনো মাথা ব্যাথা নাই। সমস্যা সমাধানে মেয়রদের দৃশ্যমান উদ্যোগও নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
সামান্য বৃষ্টি হলেই রাজধানীর রাস্তায় পানি জমে যায়। রাজধানীবাসী এ অভিযোগ করে আসছে বহুদিন ধরে। এ যেন দেখার কেউ নেই অবস্থা। আসপিয়া নামের এক পথচারী বলেন, বর্ষার আগে পয়ঃনিষ্কাশনের ড্রেন পরিষ্কার না করার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান সড়কের পাশাপাশি বৃষ্টির পানি জমে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন ওলি-গলিতে। মৌচাক-মগবাজার-রাশমনো মেডিকেল হাসপাতালের সড়কে গিয়ে দেখা গেছে হাঁটু পানি।
গতকাল শুক্রবার সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ধানমন্ডির জিগাতলা থেকে হাজারিবাগ সড়কে রিকশাসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডেও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। পানি জমে থাকায় মোহাম্মদপুর মকবুল হোসেন ডিগ্রি কলেজের আশপাশের এলাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। এছাড়া মিরপুরের সনি সিনেমা হল থেকে শুরু করে চিড়িয়াখানা সড়কেও জমে ছিল বৃষ্টির পানি। মাজার রোড ও গাবতলীর বিভিন্ন স্থানেও পানি জমে থাকতে দেখা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।