Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বব্যাপী লকডাউন জারি ‘বিশাল ভুল’ সিদ্ধান্ত : নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০২০, ২:১৭ পিএম

রসায়নে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মাইকেল লেভিট বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারি রোধে বিশ্বব্যাপী জারিকৃত লকডাউন ‘বিশাল ভুল’ ছিল। এতে সমাজের বড় ক্ষতির পাশাপাশি কোনো ধরনের হার্ড ইমিউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সম্প্রতি এ বিজ্ঞানীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক ফ্রেডি স্লেয়ার্স।

সাড়ে চার মাসের বেশি সময় ধরে লকডাউনের কারণে গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়ে আছে। মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনকেই প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বিশ্বের সব দেশ।

আনহার্ড ডটকমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে প্রফেসর লেভিট মন্তব্য করে বলেন, ‘চীন করোনার হুমকি কীভাবে মোকাবিলা করেছে তা যদি বিশ্ব ভালোভাবে খেয়াল করত, তবে সরকারগুলো ভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিত। বিশেষ করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করত না।’

তিনি বলেন, ‘যদি আবারও একই কাজ করতে হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের অনুরোধ হবে মুখের মাস্ক, হাত জীবাণুমুক্তকরণ, এমন পরিশোধ ব্যবস্থা চালু যেখানে স্পর্শের দরকার হয় না এবং শুধু বয়স্কদের আইসোলেশনে রাখা।

দক্ষিণ আফ্রিকার নোবেলজয়ী এ বিজ্ঞানী বলেন, ‘করোনা সংকটে গৃহীত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করলে জার্মানি ও সুইডেন সবচেয়ে বড় বিজয়ী হবে। তারা খুব বেশি লকডাউন দেয়নি। ‘হার্ড ইমিউনিটি’ (স্বয়ংক্রিয়ভাবে রোগ প্রতিরোধী হয়ে ওঠা) পাওয়ার জন্য কিছু সংখ্যক লোক অসুস্থ হয়েছে মাত্র। সেখানে অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েল থাকবে হতভাগাদের কাতারে। কারণ খুব বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আগেই তারা কড়া লকডাউন জারি করেছে।

স্ট্যানফোর্ডের মেডিসিনস স্ট্রাকচারাল বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর লেভিটের মতে, করোনাভাইরাসের পরবর্তী ধাক্কা থেকে প্রথম গ্রুপটি সুরক্ষিত থাকলেও দ্বিতীয় গ্রুপটি ঝুঁকিতে পড়বে বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি আনহার্ড ডটকমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ৭৩ বছর বয়সী এ বিজ্ঞানী এ দাবি করেন।
বিজ্ঞানী মাইকেল লেভিট বর্তমানে স্টানফোর্ডের মেডিসিনস স্ট্রাকচারাল বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান পদে কর্মরত। দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী তিনিই।
প্রফেসর লেভিট বলেন, করোনায় এ পর্যন্ত বিপর্যস্ত দেশগুলোতে নেয়া ব্যবস্থাগুলো পর্যালোচনা করলে আমি দেখছি করোনার বিপক্ষে সবচেয়ে বড় বিজয়ী দেশ- জার্মানি ও সুইডেন। কিন্তু তারা খুব বেশি একটা লকডাউন দেয়নি। স্বয়ংক্রিয়ভাবে রোগ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার জন্য সেখানে কিছুসংখ্যক লোক অসুস্থ হয়েছে মাত্র। দেশ দুটির অর্থনীতির গতিতেও তেমন বাধা পড়েনি। এ ক্ষেত্রে অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ইসরাইল বড় ভুল করেছে বলে দাবি করেন এ বিজ্ঞানী।
তিনি বলেন, এই তিন দেশ থাকবে হতভাগাদের কাতারে। খুব বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আগেই তারা কড়া লকডাউন জারি করেছে। এতে সমাজের বড় ক্ষতির পাশাপাশি কোনো ধরনের হার্ড ইমিউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়নি সেসব দেশে।

তিনি বলেন, আমার মতে- শরীরে ইমিউনিটি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে করোনাভাইরাসের পরবর্তী ধাক্কায় জার্মানি ও সুইডেন সুরক্ষিত থাকবে। কিন্ত দ্বিতীয় ধাপে ঝুঁকিতে পড়বে ইসরাইলের মতো বেশি লকডাউন দেয়া দেশগুলো।
লকডাউন কম দিয়ে সব কিছুকে জীবাণুমুক্তকরণে গুরুত্ব বেশি দেয়া বলে মনে করেন এই বিজ্ঞানী।
তিনি বলেন, যদি আবারও করোনাকে রুখতে হয় সে ক্ষেত্রে আমার অনুরোধ হবে- মাস্ক ও হাত জীবাণুমুক্তকরণে বেশি গুরুত্ব দেয়া। নগদ অর্থের বদলে মোবাইল ফোনে লেনদেন এমন ধরনের পরিশোধ ব্যবস্থা বাড়ানো যেখানে স্পর্শের দরকার হয় না।



 

Show all comments
  • ash ১৫ মে, ২০২০, ৪:২৫ পিএম says : 0
    HE IS 100% RIGHT ! I WORK FOR SYDNEY HOSPITAL, 5 DAYS A WEEK I WORK. THERE IS LOTS OF CORONA PATIENT EVERY WHERE, WE USE MUSK & KEEP CLEAN HANDS, MOSTLY INSIDE THE HOSPITAL WHEN WE WORK ! AS MUCH I KNOW ONLY 1 Dr GOT CORONA SO FARR ! BUT HAS TO BE MAKE SURE CHANGE MUSK OFTEN, KEEP CLEAN HAND
    Total Reply(0) Reply
  • mamun ১৫ মে, ২০২০, ৫:২৩ পিএম says : 0
    কোন কোন বিজ্ঞানী একদিন হয়ত বলবে কারোনা-১৯ বলতে কিছু নেই। আসলে সব ধান্দা বাজী।
    Total Reply(0) Reply
  • mamun ১৫ মে, ২০২০, ৫:৩১ পিএম says : 0
    কোন কোন বিজ্ঞানী একদিন হয়ত বলবে কারোনা-১৯ বলতে কিছু নেই। আসলে সব ধান্দা বাজী।
    Total Reply(0) Reply
  • শওকত আকবর ১৫ মে, ২০২০, ৬:০৯ পিএম says : 0
    বিগ্ঞানী আর গবেষকরা যা বলেন আমরা তাই করছি।কিন্তু শেষ পরিনতি কি হবে তা বোধহয় বিদাতাই জানে।
    Total Reply(0) Reply
  • বাঁশের কেল্লা ১৫ মে, ২০২০, ১০:৪৮ পিএম says : 0
    যারা বড় ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করে সফল হইছে তাদেরকে Nobel Prize দেয়া হয়, যেমন জাতি ধ্বংস, অর্থনীতি ধ্বংস, শিক্ষা ধ্বংস, মাদার ওপেন, নেটওয়ার্কিং মেথডের মাধ্যমে দারিদ্র্যদের টাকা চুরি, গৃহ যুদ্ধ সৃষ্টি, মানবতাকে ধ্বংস করা এবং আরো অনেক..! শয়তানকে যেমন চোখে দেখা যায়না তেমনি Nobel Prizer কার্যক্রম দেখা যায়না. "Nobel Prize is the Evil Prize". নোবেল সংস্থা জাতিসংগের একটা অংশ.
    Total Reply(0) Reply
  • হ্যামিলনের বাঁশি ওলা ১৫ মে, ২০২০, ১০:৫৫ পিএম says : 0
    যারা বড় ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করে সফল হইছে তাদেরকে Nobel Prize দেয়া হয়, যেমন জাতি ধ্বংস, অর্থনীতি ধ্বংস, শিক্ষা ধ্বংস, মাদার ওপেন, নেটওয়ার্কিং মেথডের মাধ্যমে দারিদ্র্যদের টাকা চুরি, গৃহ যুদ্ধ সৃষ্টি, মানবতাকে ধ্বংস করা এবং আরো অনেক..! শয়তানকে যেমন চোখে দেখা যায়না তেমনি Nobel Prizer কার্যক্রম দেখা যায়না. "Nobel Prize is the Evil Prize". নোবেল সংস্থা জাতিসংগের একটা অংশ.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ