Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড: সোশ্যাল মিডিয়ায় উৎকণ্ঠা

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০২০, ৯:২৪ এএম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশে গত একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একইসাথে লকডাউন শিথিল করায় দেশের মার্কেটগুলোতে ঈদ কেনাকাটার ভিড় দিনদিন বেড়েই চলেছে। এহেন পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ। ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় থেকে বাঁচতে এবং মানুষের জীবন রক্ষায় অতিসত্বর কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন নেটিজেনরা।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ১৬২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর এসময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯ জন। এনিয়ে বাংলাদেশে মোট আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৭,৮২২ জন। আর এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন। ফলে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩,৩৬১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ও মৃত্যের সংখ্যা পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে।

ফেইসবুকে মো. আমিরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশটা জাহান্নামে পরিণত হবে শুধু সময়ের অপেক্ষা। রাস্তাঘাটে মানুষ মরে পড়ে থাকবে, চারিদিকে শুধু লাশের ছড়াছড়ি। এখনও সময় আছে কারফিউ জারি করে লকডাউন কার্যকর করা হোক। বেঁচে থাকলে আবার অর্থনীতি চাঙ্গা হবে, আগে জীবন।’’

ফয়সাল হাসান আবির, ‘‘দেশের সাধারণ মানুষগুলোকে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ঠেলে দিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে চাওয়া চরম অমানবিক ও নিষ্ঠুরতা। বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশে সবকিছু খোলা রেখে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয় এটাই বাস্তবতা। সরকারের কাছে আকুল আবেদন ২০-২১ দিন ভয়াবহ সংক্রমণের এই সময়টাতে হলেও কঠোর লকডাউন জারি করে দেশের জনগনকে রক্ষা করুন।’’

শেখ মাওলা লিখেছেন, ‘‘এইসব রেকর্ড না ভাই, খোদা না করুন, সামনে ভয়ংকর রেকর্ডের হাতছানি দিচ্ছে, স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আমরা। এর জন্য দায়ী সরকারের অসতর্কতা, অব্যবস্থাপনা, পূর্বপ্রস্তুতি না নেয়া এবং সাধারণ মানুষের অসচেতনতা। আমরা বাঙালিরা হারানোর আগে বুঝি না, হারানোর পর বুঝি।
তবে এখনের হারানোটা অপূরণীয়।’’

তোসিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘‘মার্কেট, হাট বাজার, গার্মেন্টস, প্রাইভেট অফিস, সব যাগায় করোনার চাষাবাদ সঠিক নিয়মে হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে অল্প কিছুদিনের মধ্যে বাম্পার ফলন ঘরে উঠবে।’’

সোহেল শাহরিয়ার লিখেছেন, ‘‘করোনা চাষে বাম্পার ফলনের জন্য গার্মেন্টস এবং শপিং মলকে অসংখ্য থ্যাংকস।যারা এই চাষে কঠোরভাবে পরিশ্রম করলো তাদেরকে আরো থ্যাংকস।আশা করি ফলন অনেক ভালো হবে এবার।’’

মো. আরিফুল ইসলাম, ‘‘দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে আক্রান্ত এর সংখ্যা। আল্লাহ আমাদের হেফাজতে রাখুন। হে আল্লাহ এই ভয়ংকর মহামারী থেকে মুক্তি দাও। এই পৃথিবী আবার আগের অবস্থায় নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করো। আমাদের মাফ করো, সকল বিশ্ববাসীকে এই মহামারী থেকে হেফাজত করো।

আওয়ালুর রহমান লিখেছেন, ‘‘অনেক শ্রমিক বা প্রতিদিন খেটে খাওয়া সরকারের, কাছে দাবি করেছে, এই লকডাউন
থাকিলে আমরা করোনা হওয়ার পূর্বেই না খেয়ে মারা যাবো, তাই আমরা ত্রান চাই, না হলে আমরা রাস্তায় মিছিল করবো। অথচ একটা মানুষ দেখিনা বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করতে, এতে বুঝায় করোনায় মরার চেয়ে ভিক্ষা করা কষ্টকর।’’



 

Show all comments
  • মোঃ ইসমাইল হোসেন মজুমদার ১৪ মে, ২০২০, ১১:১৭ এএম says : 1
    25মে থেকে 15জুন পযন্ত ক কারফিউ দেওয়ার অনুরোধ করছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ