মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশান (ন্যাটো) এর নিরাপত্তা চুক্তি রদবদলের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচিত হলে তিনি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে প্রদত্ত মার্কিনী নিরাপত্তা দেয়ার অঙ্গীকার তুলে নিতে পারেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল তখনই অন্য দেশগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে যখন তারা যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত মানতে বাধ্য হবে। ন্যাটো চুক্তি অনুযায়ী যদি কোন সদস্য রাষ্ট্র আক্রমণের মুখে পড়ে তাহলে বাকিদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। রিপাবলিকান দলের ন্যাশনাল কনভেনশনে বক্তৃতায় বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে জানান ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ন্যাটো সদস্য দেশগুলোকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা আর নাও দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কেবল তখনই ন্যাটো মিত্রদেশগুলোকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাবে যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাদের দায়-দায়িত্ব পূরণ করে। ন্যাটো জোটের সদস্যদেশগুলো একটি চুক্তি সই করেছে। যাতে বলা হয়েছে, জোটের কোন দেশ আক্রান্ত হলে তারা সাহায্য করতে এগিয়ে যাবে। গত বৃহস্পতিবার রিপাবলিকান কনভেনশনে বক্তব্য দেয়ার আগে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের খরচ এবং বিদেশে দেশটির সংশ্লিষ্টতা কমানোর দিকে লক্ষ্য রেখে বৈদেশিক নীতি পরিকল্পনার এ রূপরেখা দেন। নেটো দেশগুলোকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা না দেয়ার ট্রাম্পের বক্তব্য জোটটির মূলমন্ত্রে একটি বড় আঘাত। এই মূলমন্ত্র হচ্ছে, জোটের এক দেশ আক্রান্ত হলে সেটি সবার ওপরই আক্রমণ বলে গণ্য হবে। ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাকালীন চুক্তির ৫ অনুচ্ছেদের আওতায় জোটের এক সদস্যদেশ আক্রান্ত হলে অন্য সব সদস্যই সাহায্যে এগিয়ে যেতে বাধ্য। যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন থেকেই ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোকে প্রতিরক্ষায় বেশি ব্যয় করার জন্য চাপ দিয়ে আসছে। এতে ধীরে হলেও কাজ হতে শুরু করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তার দায়িত্ব থেকে সরে যাবে এমন কথা কেউ কখনও বলেনি। রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকার এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র নির্ভরযোগ্য মিত্রদেশ নাও থাকতে পারে এমন আভাস ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদেশগুলোর জন্য একটি দুঃস্বপ্ন। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।