বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1720371915](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদের আগে আর বরিশাল মহানগরীর শপিংমল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ কোন ধরনের দোকানপাট খুলছে না। সরকার থেকে এ ব্যপারে নমনীয় মনোভাব পোষন করা হলেও নগরীর চকবাজার ব্যবসায়ী সমিতি সহ অনেকে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও ব্যবসায়ীরা শেষ মুহুর্তে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। ঈদের আগ পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের দোকান ব্যতীত অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হয়েছে । ফলে গত দুদিনও বরিশালে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া বেশীরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে নগরীর সড়কগুলোতে যানবহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। রিক্সা ও থ্রি-হুইলার যানবাহন এতটাই বেড়ে গেছে যে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যানজটও সৃষ্টি হচ্ছে।
চলমান করোনা সংকটের মধ্যে ঈদ উৎসবে জনগণের কেনাকাটার সুবিধার্থে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নিষেধাজ্ঞা ১০ জানুয়ারী থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। তবে ঈদের কেনাকাটায় বিপনী বিতান প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক সমাগমে করোনা সংক্রামনের ঝুঁকি থাকায় দোকান খোলা নিয়ে সারাদেশের ন্যায় বরিশালের ব্যবসায়ীরাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন।
বিশেষ করে পোশাক বিক্রীর প্রধান বানিজ্যিক এলাকা চকবাজার, হেমায়েতউদ্দিন রোড ও হাজী মোহাম্মদ মহসিন মার্কেটের দোকান খোলা নিয়ে সকল ব্যবসায়ীরা একমত হতে পারেননি। ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ সুস্পষ্টভাবে দোকান খোলা রাখার ঘোষণা না দিয়ে বলেন, ‘স্বাস্থবিধি মেনে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করলে দোকান খুলে বেচাকেনা করতে পারবেন’। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এসব এলাকায় সরু সড়কের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। ফলে সাধারন ব্যবসায়ীদের দোকান খোলা রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় চকবাজার, হাটখোলা, লাইন রোড ও হেমায়েত উদ্দিন সড়কের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। ওই সভায় ঈদের আগ পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিটি মেয়রের অনুরোধে বরিশালের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে করোনা সংক্রামনের হাত থেকে বাঁচাতে ব্যবসার চেয়ে জীবনকেই বেছে নিয়েছেন ব্যবসায়ীগন।
তবে দোকান কর্মচারীরা বেতন পাবার আশায় দোকান খোলার পক্ষে ছিলেন। তাদের বক্তব্য ছিল মালিকপক্ষ তাদের গত দেড় মাসের বেতন দেয়নি। আবার তাদেরকে কেউ ত্রাণও দেয়না। তারা ত্রাণের জন্য রাস্তায়ও দাঁড়াতে পারেননা। এখন তারা পরিবার পরিজন নিয়ে অর্ধভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তবে মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ দোকান মালিকদেরকে ‘সম্ভব হলে কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করার’ জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।