Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিরতে মরিয়া ইংল্যান্ডের শক্তি বাড়লো রশিদে ওল্ড ট্রাফোর্ডে আরও আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান

প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : লর্ডসে অনেক কিছুই প্রমাণ করার ছিল পাকিস্তানের। ক্রিকেটের এই পীঠস্থান পাকিস্তানের জন্য এত দিন হয়ে ছিল অস্বস্তির একটা জায়গা। স্পট ফিক্সিং-কাÐের সেই ক্ষত পাকিস্তান আড়াল করে দিয়েছে দুর্দান্ত এক জয়ে। মানসিকভাবে মিসবাহ-উল হকের দল এখন এতটাই চাঙা, ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছে। আর সেই স্বপ্নে হাওয়া জোগাচ্ছে ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাকিস্তানের রেকর্ড। ম্যানচেস্টার শহরের এই মাঠে ৫ টেস্টের তিনটা ড্র করেছিল পাকিস্তান। একটি জয়, একটি পরাজয়। এ মাঠে ইংল্যান্ড কখনোই যেন হোম ভেন্যুর সুবিধা পাকিস্তানের বিপক্ষে পায়নি। এর একটা ব্যাখ্যাও দিলেন স্টিভ রিক্সন। পাকিস্তানের ফিল্ডিং কোচের মতে, এখানকার কন্ডিশন বরং পাকিস্তানকেই বেশি মানায়। বিশেষ করে তাদের বোলিং আক্রমণকে। আর তাই পরের টেস্টে এই কন্ডিশনে পাকিস্তান হয়ে উঠতে পারে আরও ভয়ংকর।
ওল্ড ট্রাফোর্ডের উইকেট পাকিস্তানের পেস-স্পিন দুই ক্ষেত্রেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে বলে মত রিক্সনের, ‘এই উইকেট আমাদের আক্রমণের দুটি মাধ্যমকেই সাহায্য করবে। আমি মনে করি, এই উইকেটে পেসাররা বাড়তি বাউন্সে দারুণ বল করবে। লর্ডসেও তাদের ভালো করার সুযোগ ছিল। কিন্তু শুরুটা প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।’ মোহাম্মদ আমির লর্ডসে খুব ভালো করতে না পারলেও ওল্ড ট্রাফোর্ডে ঘুরেই দাঁড়াবেন বলে মনে করেন রিক্সন। এর সঙ্গে দুর্দান্ত ইয়াসির শাহ তো আছেনই। ইয়াসিরকে টেস্ট দুনিয়ারই কঠিনতম বোলার মনে করেন রিক্সন, ‘বলের ওপর ইয়াসিরের নিয়ন্ত্রণ শেন ওয়ার্নের মতোই। প্রতিটি টেস্ট দলের ব্যাটসম্যানদেরই ইয়াসিরকে খেলতে অসুবিধা হওয়ার কথা।’
আর মাত্র ১৪ উইকেট পেলেই জর্জ লোহম্যানের গড়া টেস্টে দ্রæততম ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি নিজের করে নেবেন ইয়াসির, গত ১২০ বছরে যা কেউ করতে পারেননি। ওল্ড ট্রাফোর্ডেই সেটা করে ফেলা অবশ্যই খুব কঠিন, কিন্তু একেবারে অসম্ভবও তো নয়। তবে রিক্সনের মত হলো, রেকর্ড-টেকর্ড মাথায় না রেখে বল করে যাওয়াই হবে ইয়াসিরের আসল কাজ। তবে গতকাল নেটে অনুশীলন করতে গিয়ে কিছুটা চোট পেলেও তাকে পাবার ব্যাপারে আশাবাদী অধিনায়ক মিসবাহ।
এই মুহূর্তে দারুণ মুডে আছে পাকিস্তানি শিবির। আপাতত তারাই এগিয়ে। তবে ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে নিশ্চয়ই। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের আগেই সাকলাইন মুশতাককে পাকিস্তানের ‘ঘরের শত্রæ’ বানিয়েছে ইংলিশরা। সাকলাইনের দ্বারস্থ হয়ে ইংল্যান্ড এখন চাচ্ছে ইয়াসির-রহস্যের সমাধান। রিক্সন মনে করেন এই ম্যাচে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকার পাশাপাশি চাপটাও পাকিস্তানের ওপরই, ‘লর্ডসে জেতার পর চাপটা আমাদের ওপরই। আমাদের এখন উচিত নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করা। আমাদের নিজেদের খেলাটা ঠিকঠাক খেললে এই ম্যাচটা জিততে পারব।’
এমন হুঙ্কারের পর দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ইংল্যান্ড দলে পরিবর্তন এসেছে তিনটি। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন জেমস অ্যান্ডরসন ও বেন স্টোকস এবং ঘরোয়া লিগে ভালো পারফর্ম করার সুবাদে দলে সুযোগ হয়েছে লেগ স্পিনার আদিল রশিদের। রশিদকে দলে নেওয়া হয়েছে সম্ভাবত মঈন আলীর জায়গায়। লর্ডস টেস্টে ব্যাটে-বলে অনুজ্জ্বল ছিলেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। শুধু লর্ডসই নয়, চলতি বছরে ৭ ম্যাচে তার বোলিং গড় ৯২। পক্ষান্তরে কাউন্টিতে ৭ ম্যাচে ৩৫.৩০ গড়ে ২০ উইকেট নেন রশিদ। এসময় ব্যাট হাতেও ৩৭.৪৪ গড়ে ৩৩৭ রান করেন পাকিস্তান বংশদ্ভুদ এই অল-রাউন্ডার। ইংল্যান্ড কোচ ট্রেভর বেইলিসও রশিদকে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন, ‘পাকিস্তানের বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান মাত্র একজন। সুতরাং আমি নিশ্চিত, এটা কিছুটা হলেও তাদেরকে সমস্যায় ফেলবে। আমরা চাই, আমাদের সেরা স্পিনারকে দলে রাখতে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিরতে মরিয়া ইংল্যান্ডের শক্তি বাড়লো রশিদে ওল্ড ট্রাফোর্ডে আরও আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ