Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ায় আইসোলেশন থেকে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেন সর্বশেষ করোনা রোগী স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ে

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২০, ৬:১৭ পিএম

কুষ্টিয়ায় এবার করোনা চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে স্বামী স্ত্রী ও তাদের চার বছরে সন্তান সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

আজ শনিবার দুপুরে ছাড়পত্র দিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন থেকে তাদের বাড়ি পাঠানো হয়।

এরা হলো কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ফিলিপনগর গ্রামের তছিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শিল্পীয়ারা বেগম, এবং চার বছরের মেয়ে ফাতেমা খাতুন।কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তাপস কুমার সরকার বলেন, ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে পালিয়ে আসার সময় রাজবাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে আনা হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হলে দুই বার পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনা ভাইরাস নেই নিশ্চিত হয়ে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ীতে পাঠানো হলো।এ পর্যন্ত কুষ্টিয়ায় ১৮ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর আগেও দুইজন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি গেছেন। আজ ৩ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর বাকীরা নিজেদের বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সবার অবস্থায় ভাল রয়েছে।

তিনি বলেন, আতংকিত নয়, সময়মত চিকিৎসা আর নিয়ম মানলে দ্রুত করোনা থেকে সুস্থ্য হওয়া সম্ভব।

এ সময়ে জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের পক্ষ থেকে করোনা জয়ীদের সহিত পুষ্টিকর খাবার এবং উপহার সামগ্রী নিয়ে সৌজন্য স্বাক্ষাত করেন জনাব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অপরাধ), কুষ্টিয়া।

উপজেলাভিত্তিক রোগীঃ- দৌলতপুর -৫, ভেড়ামারা -২, কুমারখালী -৫, সদর -১, খোকসা -১, মিরপুর -৪। বহিরাগত রোগী ২ (FWVTI এর আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন)। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ জন।

কুষ্টিয়া জেলায় প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২২ এপ্রিল। এদিন দুজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা (৩০) এবং মাদারীপুর জেলায় সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অফিসার পদে কর্মরত আছেন। আক্রান্ত অপর জন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ (৬৯) কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গট্টিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

উল্লেখ্য, এই দম্পতি চাকুরী সুত্রে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে একটি ভাড়া বাসায় তারা থাকতেন। মোঃ তরিকুল ইসলাম পেশায় একজন প্রাইভেট চালক। তারা পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করতেন। মোঃ তরিকুল ইসলাম গত ২২ এপ্রিল ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নমুনা পরীক্ষা করালে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। পরের দিন ২৩ এপ্রিল তার স্ত্রী মোছাঃ শিল্পীয়ারা খাতুন এবং মেয়ে মোছাঃ ফাতেমা খাতুনের একই জায়গায় নমুনা পরীক্ষা করালে তার স্ত্রী’র করেনা পজেটিভ এবং মেয়ের নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।

তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হয়। কিন্তু তারা সেটা না করে পরিবারসহ ২৪ এপ্রিল ঢাকা থেকে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া চলে আসেন। রাজবাড়ীতে তারা এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান নেন। এখান থেকেই তাদের করোনা আক্রান্তের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা কুষ্টিয়ার দিকে রওনা দেন। ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের রতন ক্লিনিকের সামনে থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোবাইক থেকে এই দম্পতিকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী পুলিশ।

বিষয়টি ঐ আক্রান্ত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনদের নিকট থেকে জানার পর কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আকম সরওয়ার জাহান বাদশা কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনকে অবহিত করেন। পরে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে তাদেরকে কুষ্টিয়ায় আনা হয়। রাখা হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে।

এদিকে কুষ্টিয়াতে এই তিনজন রিলিজ পাওয়ার পর সেখানে আইসোলেশনে আর কোন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ