বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারনে থমকে আছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর-নয়ানগর ব্রীজের নির্মাণ কাজ। ইছামতি নদীর উপর নিমার্ণাধীন এ ব্রীজের পাশেই যাতায়াতের জন্য শুস্ক মৌসুমে একটি বিকল্প রাস্তা করা হয়। আর ওই রাস্তায় ইছামতির বুকে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়েছে। বর্ষা আসন্ন। সেই সঙ্গে বৃষ্টির দেখা মিলছে কয়েকদিন বাদে বাদে। গেল কয়েকদিনের বৃষ্টি ও বর্ষার নতুন পানিতে সেই সাঁকো তলিয়ে গেছে। সাঁকোর দুই পাশ ছাড়াও মাঝ খানের অংশ এখন পানির নীচে। এতে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর-নয়ানগর ব্রীজের পাশ দিয়ে বিকল্প বাঁশের সাঁকোয় যাতায়াতে দুর্ভোগ বেড়েছে। সেখানকার অন্তত ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতে এ দুর্ভোগ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্রীজের দুই পাশের গ্রামের বাসিন্দারা।
এ অবস্থায় পানির নীচে থাকা বাঁশের সাঁকোয় যাতায়াত করা ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই অনেকেই নৌকায় সামান্য ওই পথ পাড়ি দিচ্ছেন। এতে তাদের মাথা পিছু ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৫ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে রাজানগর বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়া ও আসার ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। বিশেষ করে ফুলহার, সৈয়দপুর, মধুপুর, নয়ানগর ও জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের মানুষ পড়েছেন বিড়ম্বনায়। কেননা রাজানগর-নয়ানগর ব্রীজের উপর ওই গ্রাম গুলোর বাসিন্দাদেরই সবচেয়ে বেশী যাতায়াত।
নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল সিকদার বলেন, এ সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিনি অনেক লোকজন যাতায়াত করে থাকে। বাজার, দু’টি স্কুল, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যেতে হলে এ বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। নদীতে বর্ষার পানি আসছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি তো রয়েছেই-এই দুই মিলে বাঁশের সাঁকো তলিয়ে গেছে পানির নীচে। এতে গ্রামের নারী ও বয়স্করা যাতায়াত করতে পারছেন না। দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
এদিকে, ভরা বর্ষার আগেই বাঁশের সাঁকো মেরামত করা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা। বর্ষায় ইছামতি নদী পানিতে টইটুম্বর হয়ে উঠার আগেই সাঁকোটি জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য উপযোগী করার দাবী করেছেন তারা। তাদের কথা হচ্ছে ব্রীজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রামবাসীর যাতায়াতের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সাঁকোটি মেরামত করবেন। গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাগবের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাও দৃষ্টি দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী সোয়াইব বিন আজাদ বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে কিছু সতকর্তা অবলম্বন করে ব্রীজের নির্মাণ কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে লকডাউনের কারনে শ্রমিক আসছে না। তবে বাঁশের সাঁকোর বর্তমান চিত্র সম্পর্কে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি। তিনি ব্যবস্থা নিবেন। প্রয়োজনে আবারও উনার সঙ্গে কথা বলব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।