Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পীরগাছায় উপসর্গহীন করোনা রোগীর সঙ্গে বাড়ছে উদ্বেগ

পীরগাছা (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০২০, ৫:০৭ পিএম

রংপুরের পীরগাছায় করোনায় আক্রান্ত তিন ব্যক্তির মধ্যে দু´জনের কোন উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়নি। একজনের সামান্য উপসর্গ ছিল সাধারণ জ্বর সর্দি। এতে সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে দুই জন পুরুষ ও অন্যজন নারী। গত এক সপ্তাহে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা পজেটিভ আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে পীরগাছা থানায় কর্মরত এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও এক নারীর তেমন উপসর্গ ছিল না। পরে এক যুবক (২৫) সামান্য জ্বর সর্দি নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। নমুনা পরীক্ষায় তারও করোনা পজেটিভ আসে। বর্তমানে তিন জনই সুস্থ্য আছেন। এদের মধ্যে উপপরিদর্শককে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বাকি দুজন নিজ বাড়িতে রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত ওই নারী বাড়িতে ছিলেন। তার বাড়িতে পরিবারের লোকজন ছাড়া অন্য কেউ যাতায়াত করেননি। উপ-পরিদর্শকও এক বছর ধরে এই থানায় কর্মরত। কীভাবে এই দুইজনের শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ আসলো সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, কেননা কারোরই তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। এদিকে সামান্য উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন আক্রান্ত ওই যুবক। পরদিন তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনি ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে পীরগাছার পাওটানা শাখায় ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি পাশের মিঠাপুকুর উপজেলায়। তিনি পীরগাছায় ভাড়া বাসায় পরিবারসহ থাকেন। তবে তিনি মাঝে মাঝেই মিঠাপুকুর যাতায়াত করতেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নারী বলেন, আমার গলায় সামান্য ব্যথা অনুভব হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ওষুধ নেই। এসময় চিকিৎসক আমার নমুনা সংগ্রহ করে। ওষুধ খাওয়ার একদিন পর থেকে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। এখন শুনছি আমার করোনা হয়েছে।
আক্রান্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) জানান, তিনি সামান্য জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। ডাক্তার তাকে জ্বরের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেয় এবং নমুনা সংগ্রহ করেন। তার শারীরে এখন কোনো সমস্যা নেই।
আক্রান্ত যুবক (২৫) জানান, জ্বর সর্দি নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে ভর্তি হই। এক দিন পর নমুনা দেওয়ার পর সুস্থ্যবোধ করায় বাসায় চলে আসি। চার দিন পর জানতে পারি আমি করোনা আক্রান্ত।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাহিদ জামান বলেন, এ ধরনের আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্বাভাবিক কাজকর্ম সব করতে পারেন। অস্বস্তিবোধ না হওয়ায় সহজে করোনা পজেটিভ মানতে চান না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সানোয়ার হোসেন বলেন, উপসর্গহীন রোগীরা বেশী ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের দ্বারায় সংক্রমণের ঝুঁকি বহুমাত্রায় বেড়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ