মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দেননি এবার প্রাইমারি ও ককাস নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সিনেটর টেড ক্রুজ। তিনি বরং ভোটারদের সচেতনতার সঙ্গে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এ নিয়ে কনভেনশন হলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেখানে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা বারবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দেয়ার আহ্বান জানাতে থাকেন। তারা ‘ট্রাম্প, ট্রাম্প, ট্রাম্প’ বলে স্লোগান দেন। কিন্তু নিজের অবস্থানে অটল থাকলেন টেড ক্রুজ। তিনি সহজে মেনে নিতে পারেননি অকস্মাৎ রিয়েল এস্টেট বিলিয়নিয়ারকে প্রেসিডেন্ট পদে।
টেড ক্রুজ যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দেবেন না তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল দলীয় প্রাইমারিতে। কারণ, প্রাইমারি নির্বাচনের শেষের দিকে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন তখন টেড ক্রুজ ও দলের অপর প্রার্থী জন কাসিচ জোট পাকান ট্রাম্পকে ঠেকানোর জন্য। কিন্তু তাদের সে কৌশলও কাজে দেয়নি। তারই জের উঠে এসেছে ক্লিভল্যান্ডে দলীয় কনভেনশনে। তিনি ট্রাম্পকে অনুমোদন না দেয়ায় সেখানে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তাকে তিরস্কার করা হয়। উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা বারবার ‘আমরা ট্রাম্পকে চাই’ এবং ‘ট্রাম্পকে অনুমোদন দাও’ স্লোগান দিতে থাকে। কিন্তু টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ তাতেও কর্ণপাত করেননি।
ক্লিভল্যান্স সম্মেলনস্থল থেকে বিবিসির সাংবাদিক অ্যান্থনি জারচার বলছেন, এ অবস্থায় পুরো কনভেনশন হল যেন টেড ক্রুজের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তিনি যখন বক্তব্যে আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ভোটরদের ঘরে বসে না থাকার আহ্বান জানান তখন সবাই প্রত্যাশা করেছিলেন যে, তিনি নতুন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীতকে অনুমোদন দেবেন। এ সময় সম্মেলনস্থলের সামনের সারি থেকে একজন চিৎকার করে বলে ওঠেন ডু ইট, ট্রেড! কিন্তু এর পরিবর্তে টেড ক্রুজ বললেন, আপনাদের চেতনা ঠিক রেখে ভোট দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে সম্মেলনস্থল থেকে টেড ক্রুজকে তিরস্কার করা হতে থাকে। কেউ কেউ চিৎকার করে বলতে থাকেন ‘ট্রাম্প! ট্রাম্প! ট্রাম্প!। কেউ কেউ বলছেন, এমনটা করে টেড ক্রুজ তার নিজের রাজনৈতিক ক্ষতি করেছেন। আগামী দু’বছর পরেই তার সামনে সিনেট নির্বাচন। ২০২০ সালেই তিনি আবার প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন চাইতে পারতেন। কিন্তু ট্রাম্প বিরোধী অবস্থান নেয়ায় তাতে অনেক ক্ষতি করে ফেলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দলীয় প্রাইমারিতে ডেলিগেট সংগ্রহের দিক থেকে ট্রাম্পের পরেই অর্থাৎ দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন টেড ক্রুজ। এতে ট্রাম্পের সংগ্রহ ১৫৪২টি ডেলিগেট। টেড ক্রুজের সংগ্রহ ৫৬০টি। ওদিকে ক্লিভল্যান্ড সম্মেলন স্থলে ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া হয় ‘লক হার আপ!’ অর্থাৎ তাকে (হিলারিকে) আটকে রাখো। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতা চেয়ে লড়াই করে পরে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানো ফ্লোরিডার সিনেটর মারকো রুবিও। ওদিকে সম্মেলনস্থলের বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রতিবাদ হয়েছে। সেখানে পতাকা পোড়ানো হয়েছে। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৭ জনকে। উইসকনসিনের গভর্নর স্কট ওয়াকার বলেছেন, হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে ভালো প্রার্থী প্রত্যাশা করে আমেরিকা। সম্মেলনে এক পর্যায়ে প্রবেশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি জানতাম টেড ক্রুজ আমাকে সমর্থন দেবেন না। তাকে তার মতো করে বলতে দিন। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।