Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে লাইটারেজ শ্রমিকদের মংলা উপকূল ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা

মংলা উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০২০, ৪:২৩ পিএম

মংলা বন্দরে আগত সকল লাইটারেজ জাহাজ ও কার্গো জাহাজের নাবিকদের উপকূলীয় এলাকায় নামার উপর নিষেধাঞ্জা জারি করেছেন উপজেলা প্রশাসন।প্রতিদিন মাইকিং করে বলা হচ্ছে ,এই আদেশ অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা। করোনা ভাইরাজ সংক্রমণের হাত থেকে এখানকার লোকদের বাঁচাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।তবে এ আদেশ অনেক শ্রমিকই মানছেন না ।

মংলা বন্দরে আগত বানিজ্যিক জাহাজের পন্য লোডিং আনলোডিং করার ক্সেত্রে নদী পথে প্রায ৫শতাধিক লাইটারেজ জাহাজ ও কার্গো জাহাজ এ বন্দরে আসতে হয় । এখান থেকে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেয়ে থাকে।এছাড়াও করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ভারতে ৩শতাধিক লাইটারেজ জাহাজ আটকে থাকার ১মাস পরে আবার দেশে ফেরার সুযোগ পায় । এসকল প্রত্যেক জাহাজে ১১-১২ জন করে নাবিক ও স্টাফ রয়েছে ।এ সব নাবিক ও স্টাফদের মাধ্যমে মংলা এলাকায় যেন করোনা ভাইরাস আসতে না পারে সেজন্য তাদের মংলা শহরে প্রবেশের উপর নিষেধাঞ্জা জারি করেছেন উপজেলা প্রশাসন ।

মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান জানান,মংলা বন্দরে আগত সকল লাইটারেজ জাহাজ ও কার্গো জাহাজের নাবিক ও স্টাফদের মংলার উপকূলীয় এলাকায় নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সকল নাবিকরা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত এলাকায় যাতায়াত করছেন। তাই তাদের মাধ্যমে যাতে এই ভাইরাসটি মংলাতে সংক্রমিত না হয় তার জন্যই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও বাজারের দরকার হলে প্রশাসনকে জানাতে হবে। প্রশাসনই তাদের বাজার পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।বিশ্বব্যাপি মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে তারা ও এখানকার লোকদের বাচাতে জাহাজেই অবস্থান করতে অনুরোধ করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের মংলা শাখার সহসভাপতি মাইদুল ইসলাম মিন্টু জানান, লাইটারেজ জাহাজ ও কার্গো জাহাজের জন্য তেল ও তাদের খাদ্যের জন্য মংলা শহরে নামতে হয়। আনেকের আবার টাকা তুলতে ব্যাংকে যেতে হয়। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জাহাজের নাবিক ও স্টাফরা প্রায় ১৫ দিন মানবেতর জীবন যাপন করছেন এবং মারাত্বক সমস্যার মুখে পড়েছে। আমরা বিষয়টি বিবেচনার জন্য প্রশাসনকে আনুরোধ করেছি। তারা এখনও আমাদের অনুরোধে সারা দেয়নি । এভাবে চলতে থাকলে এসকল নাবিকরা পণ্য পরিবহণ করা থেকে বিরত থাকবে ।

তবে বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক)ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি মোঃফিরোজ হাওলাদার প্রশাসনের নিষেধাঞ্জাকে সাগত জানিয়ে বলেন ,এসকল নাবিকরা অবাদে মংলা শহরে যাতায়াত করছে। প্রশাসনের আদেশ তারা মানছেন না ।এর ফলে মংলা করোনা ভাইরাসে আক্রন্ত হওয়ার বুকির মধ্যে রয়েছে । এব্যাপারে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ