বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে স্টোর রেন্ট শতভাগ মওকুফ সুবিধায় কন্টেইনার ডেলিভারির আগামীকাল সোমবার শেষ দিন। অর্থাৎ ইয়ার্ডে মজুদ কন্টেইনারের নির্ধারিত ভাড়ার উপর একশ’ ভাগ রেয়াতি সুবিধায় ছাড়করণ, ডেলিভারি গ্রহণের বর্ধিত মেয়াদ অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে গার্মেন্টস খাতের চরম সঙ্কট পরিস্থিতি বিবেচনা করে করোনা ছুটিকালে স্টোররেন্ট মওকুফ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে পোশাক শিল্প মালিক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
কন্টেইনার ডেলিভারিতে শতভাগ স্টোর রেন্ট ছাড়ের ফলে বন্দর-ব্যয় হ্রাসের বড়সড় এই সুযোগ নিয়ে আজ রোববার পর্যন্ত প্রচুর কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছে। আজ রাতেও তা অব্যাহত থাকে। এতে বেশিরভাগই ছিল গার্মেন্টসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবাখাতের পণ্যসামগ্রী, নিত্যপ্রয়োজনীয়, ভোগ্যপণ্য ইত্যাদি।
এসব পণ্যসামগ্রী পরিবহন করা হচ্ছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ছাড়াও ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে। দৈনিক গড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টিইইউএস পণ্যভর্তি কন্টেইনার ডেলিভারি হচ্ছে। তাছাড়া পণ্যসমূহ যাচ্ছে ১৯টি বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতেও।
এরফলে বন্দরের কন্টেইনার জট ধারণক্ষমতার নিচে ৪৪ হাজারে এসে গেছে। কমছে অপেক্ষমান জাহাজের জটও।
আমদানিকাররকগণও লাভবান হচ্ছেন শতভাগ স্টোর রেন্ট মওকুফ পেয়ে। এরজন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে নিট আয় ছাড় দিতে হচ্ছে ১৩৮ কোটি টাকা।
এদিকে করোনা ছুটিকালে চট্টগ্রাম বন্দর স্টোররেন্ট মওকুফ চায় বিজিএমইএ। দেশের পোশাক শিল্পের সঙ্কটকাল উত্তরণে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যতদিন সরকারি ছুটি বা লকডাউন থাকবে ততদিন চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার স্টোর রেন্ট মওকুফ করতে চিঠি দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। বন্দর-শিপিং সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে শনিবার দেয়া চিঠিতে তিনি ৪ মে পর্যন্ত পোশাক শিল্পের আমদানি চালান খালাসে বন্দরের স্টোর রেন্ট শতভাগ মওকুফে কৃতজ্ঞতা জানান।
সেই সঙ্গে তিনি বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে বিজিএমইএর গৃহীত পদক্ষেপে ইতোমধ্যে কন্টেইনার ডেলিভারির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে রুবানা হক বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের সাধারণ ছুটি ৫ মে থেকে আরও বাড়ানো হচ্ছে।
ইতোমধ্যে কিছু কিছু পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক আংশিক কারখানার উৎপাদন শুরু করেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ। বিদেশি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের আমদানি দলিলাদি অনেক প্রতিষ্ঠান পায়নি। এরফলে পণ্য চালান খালাস করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হবে না বলে বিজিএমইএ মনে করে।
পোশাক শিল্পের বর্তমান সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে যতদিন দেশে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি বা লকডাউন থাকবে ততদিন পণ্য চালান খালাসে বন্দরের ডেমারেজ চার্জ মওকুফের সময় বৃদ্ধি করা আবশ্যক।
জাতীয় অর্থনীতির এ সঙ্কটকালে বন্দর চেয়ারম্যানের সহযোগিতা চেয়ে স্টোর রেন্ট মওকুফের সময় বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
এ বিষয়ে আজ বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, বিজিএমইএ সাধারণ ছুটিকালে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের আমদানি পণ্য চালানে স্টোর রেন্ট মওকুফের জন্য চিঠি দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পরবর্তী বিবেচনা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।