Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ ১১ লাখ মানুষ

দ্বিতীয় বার সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই, ঘোষণা গবেষকদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০২০, ৮:৫৬ পিএম

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। সুস্থতার সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। গত একদিনে বিশ্বে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সুস্থ হওয়া মানুষ প্রায় ১০ লাখ ৯৪ হাজার। এ তথ্য জানিয়েছে করোনার লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েব সাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার। এদিকে, এই প্রথম গবেষকরা জোর গলায় দাবি করেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্বিতীয় বার হয় না।
শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭২ জন। অর্থাৎ, মোট শনাক্ত রোগীর ৩২ শতাংশের মতো সুস্থ হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৬১ হাজার ৬৬৬ জন, স্পেনে এক লাখ ৪৬ হাজার ২৩৩ জন, ইতালিতে ৭৮ হাজার ২৪৯ জন, ফ্রান্সে ৫০ হাজার ২১২ জন। ইরানে সুস্থ হয়েছেন ৭৭ হাজার ৩৫০ জন।
বিশ্বে করোনা থেকে সুস্থতার হারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে জার্মানি। দেশটিতে অবিশ্বাস্যভাবে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। জার্মানিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ২৯ হাজার মানুষ। সেই তুলনায় অনেক কম যুক্তরাষ্ট্রে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনসহ দেশটির অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় শুক্রবার আরও ১ হাজার ৮৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃত্যু ৬৫ হাজার ৭৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে, যা সারা বিশ্বে মোট আক্রান্তের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। চীনে সুস্থতার হার সবচেয়ে বেশি এ কারণে যে তারাই আক্রান্ত হয়েছিল প্রথমে এবং করোনার ধাক্কা তারা প্রায় সামলে উঠেছে। নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হচ্ছে না বললেই চলে।
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ বিষয়ক কেন্দ্র সিডিসি-র গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের পক্ষে মানবদেহে দ্বিতীয়বার হামলা করা অসম্ভব। সিডিসি আরও জানিয়েছে, এইচআইভি ও চিকেনপক্সের মতো ভাইরাসগুলো মানব কোষের নিউক্লিয়াসে প্রবেশ করতে পারে। পুনরায় সক্রিয় হওয়ার আগে, এই ভাইরাসগুলো বছরে পর বছর সুপ্ত থাকতে পারে। কিন্তু করোনাভাইরাস হোস্ট সেলের নিউক্লিয়াসের বাইরে থাকে। এর মানে, এই ভাইরাসটি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ বা পুনরাবৃত্তি ঘটায় না।
ফেব্রæয়ারি মাসে চীন ছাড়িয়ে করোনাভাইরাস আঘাত হেনেছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। চারপাশে মৃত্যুমিছিলের ভিড়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে এনে, বাকি বিশ্বের কাছে সমীহ আদায় করে নেয় দক্ষিণ কোরিয়া। কিন্তু, আশঙ্কা সৃষ্টি হয় যখন দ্বিতীয় বার কয়েক জনেক শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ৯০ জনেরও বেশি পুনরায় করোনা আক্রান্ত বলে দাবি করা হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার চিকিৎসা বিষয়ক গবেষকরা এতদিনে জানাচ্ছেন, টেস্টিংয়ের ভুলেই এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। একজনও দ্বিতীয়বার আক্রান্ত নয়। তাদের দাবি, নিষ্ক্রিয় ভাইরাস ও জীবন্ত ভাইরাসের মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারেনি ওই টেস্টগুলো। তার জেরেই এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সিডিসি কমিটির প্রধান ডক্টর ওহ মায়ং ডন দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, একবার আক্রান্ত হলে পুনরায় সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ভাইরাস একবার আক্রমণ করলে, অ্যান্টিবডি থেকে সংক্রমণরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়। তাই দ্বিতীয়বার সংক্রমণের ঘটনা বিরল। ব্রিটেনের ব্রাইটন ও সাসেক্স মেডিক্যাল স্কুলের সংক্রামক রোগের ইমেরিটাস অধ্যাপক জন কোহেন বলেন, অন্যান্য ভাইরাল সংক্রমণের ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, একবার কেউ সংক্রামিত হলে, শরীরে প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়। তাই তাদের আর সংক্রমণ ঘটে না। তবে সব ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম হয়। সূত্র : ডেইলি মেইল, টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ১১-লাখ-মানুষ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ