প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস থেকে দেশবাসীকে নিরাপদে রাখার জন্য চলছে লকডাউন। শিল্পীরাও সরকারী নিয়ম মেনে লকডাউনে নিজেদের বাসাতেই বন্দী রেখেছেন নিজেদের। কিন্তু দীর্ঘদিনের লকডাউনে কী করবেন তারাকারা। বলা যায় প্রায় একইরকম রুটিনের মধ্যদিয়ে সময় কাটছে সবার। কেউ কেউ চেষ্টা করছেন ঘরে বসেই ভিন্ন কিছু করার। কিন্তু ঘরে বসে নিজেদের জীবনের কতোই বা বৈচিত্রময়তা আনা যায়। অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানু ও সঙ্গীতশিল্পী পুতুলের সাধারণত দেখা হয় একুশে গ্রন্থমেলায় খুব বেশি। কারণ দু’জনেরই বই প্রকাশ হয় একুশে গ্রন্থ মেলায়। এবারের একুশে গ্রন্থ মেলাতেও তাদের দেখা হয়েছে বেশ কয়েকবার। বইমেলা শেষে ঠিক যখনি তারা নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠার জন্য প্রস্তুত হলেন তখনই অর্থাৎ গেলো ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হলো। ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকলো। পরবর্তীতে একসময় লকডাউনের ঘোষণা আসে। অন্যান্য সবার মতো গৃহবন্দী হতে হয় শানু ও পুতুলকেও। এরইমধ্যে পুতুলের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীও চলে আসে। কিন্তু স্বামী দেশের বাইরে লন্ডনে থাকার কারণে জীবনের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীও আর উদযাপন করা হলোনা তাদের। গৃহবন্দী থাকলেও শিল্প চর্চার মধ্যদিয়েই সময় কাটছে শানু ও পুতুলের। গত ২৮ এপ্রিল শানু তার নিজের লেখা ‘অধরা আমি’ কবিতাটি আবৃত্তি করে সবার জন্য শেয়ার করেছেন। শানু বলেন,‘ জানি একদিন আলো আসবেই তবু এক অস্থির সময়ে ঘুরপাক খাচ্ছে জীবন, পৃথিবী লকডাউনে। আমিও বারবার কবিতায় মুখ লুকাই, একটু নিশ্বাসের জন্য। কবিতার ভূত মাথায় চাপলে,দারুন বাঁচিয়ে রাখে। সেই কবিতা নিয়ে নতুন কিছু করার জন্য অনবরত অনুপ্রেরনার তাগাদা দিতে থাকল একটা মানুষ, আমারও মাথায় নতুন আইডিয়ার ভূত চাপল এই বন্দী সময়ে।নাচের ছন্দের সাথে নিজের কবিতা জড়িয়ে নেয়ার নতুন ভূতকে বাস্তবায়নও করে ফেললাম। এর সমস্ত দায়ভার তোমার শরীফ সুজন । আর স্বল্প পরিসরে ঘরের ভিতর এই ছোট্ট শ্যুটিং আয়োজনে সহযোগিতার জন্য আমার পরিবারকেও ধন্যবাদ।’ এদিকে পুতুল এরইমধ্যে করোনা’ নিয়ে একটি গান গেয়েছেন। ‘মৃত্যু উপত্যকা উবে গিয়ে আসবে না কী জীবন গ্রাম’ গানটি লিখেছেন পুতুল নিজেই, সুর করেছেনও তিনি। এরইমধ্যে অনলাইনে গানটি প্রকাশিতও হয়েছে। পুতুল বলেন,‘ সত্যি বলতে কী সারা বছরইতো আমি গান এবং লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাই। করোনার এই ঘরবন্দী সময়েও কিন্তু আমি থেমে নেই আমার কাজে। করোনা নিয়ে গানটি যদি সাধারণ মানুষের সচেতনতায় কাজে লাগে তবে সেটাই হবে আমার সার্থকতা। আমার বিশ্বাস খুব শিগগিরই বিশ্ব করোনা মুক্ত হবে। আমরা সুন্দর এক পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি। সুন্দর পৃথিবীতে আবারো আমাদের দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। ’ এদিকে এরইমধ্যে ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে প্রকাশিত লুৎফর হাসানের কবিতা ‘এসো হে মানুষ’এ কন্ঠ দিয়েছেন পুতুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।