বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে রাজধানীর নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত শ্রমিকরা স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে গ্রাম ও বাজারে অবাদে ঘুরাফেরা করছে। মানছে না তারা প্রশাসনের দেয়া হোম কোয়ারেন্টাইনও। ফলে গ্রামের লোকজনসহ আশপাশের মানুষজন আতঙ্কে রয়েছেন। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ভাঙ্গাডহর গ্রামে আগত নারায়ণগঞ্জ ফেরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত কয়েকদিন পূর্বে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রায় অর্ধশত লোকজন পরিবারসহ বাড়িতে আসে। খবর পেয়ে দিরাই উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ তাদের বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন মানার নিদের্শনা দিয়ে আসে। প্রথম কয়েকদিন তারা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবস্থান করলেও এখন তারা অবাধে গ্রাম ও বাজারে ঘুরাফেরা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাঙ্গাডহর গ্রামের মৃত হরলাল মজুমদারের পুত্র বিধান মজুমদার, বিধান লস্করের পুত্র লক্ষণ লস্কর, বিধান তালুকদারের পুত্র বিপুল তালুকদার, কিংশুক মজুমদার, মোহনলাল মজুমদারের পুত্র মিল্টন মজুমদার, দিলীপ সরকার ও মৃত আইধর দাসের পুত্র রবি দাসসহ প্রায় ৫০ জন সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে এখন খোলামেলা চলাফেরা করছে।
তাড়ল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার শেখ ফরিদ জানান, প্রথমে তারা কিছুটা হোম কোয়ারেন্টাইন মেনেছে, এখন সময় প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তাছাড়া এলাকার লোকজন বৈশাখি কাজে কিছুটা ব্যস্ত আছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাড়ল ইউনিয়নের করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বক্তব্য অনেক চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত ৪টি পরিবারকে গত ২৩ এপ্রিল হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভাঙ্গাডহর গ্রামে গিয়ে তাদেরকে অনুরোধ করে আসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।