Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাফতার বাহিনীর যুদ্ধ বিরতি

তুর্কি সমর্থিত লিবিয়া সরকারের চাপে কোণঠাসা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০২০, ১২:০৭ এএম

লিবিয়ার তুরস্ক সমর্থিত ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর জমি হারাচ্ছে বিদ্রোহী হাফতার বাহিনী। ফলে ইরান, রাশিয়া, মিশর ও সংযুক্ত আরব-আমিরাতের সমর্থনপুষ্ট হয়েও চাপের মুখে পড়ে যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হল তারা। বুধবার খলিফা হাফতারের মুখপাত্র জানান, রমজান উপলক্ষে তারা যুদ্ধবিরতিতে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ, ইইউ এবং আরো কয়েকটি দেশ পবিত্র রমজান মাসে অস্ত্রবিরতি পালনে উভয়পক্ষের প্রতি আহবান জানায়। হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ার ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) মুখপাত্র আহমেদ মিসমারী একটি টেলিভিশন সম্প্রচারে বলেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং ‘বন্ধু দেশসমূহ’ এর অনুরোধে তারা যুদ্ধবিরতিতে যাচ্ছেন। তবে এই বিষয়ে ত্রিপোলি ভিত্তিক জাতীয় সরকার (জিএনএ) তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি। চলতি বছর এলএনএ এবং জিএনএ কর্তৃক দুই বার যুদ্ধবিরতি হলেও তা ভেস্তে যায়। দুই সপ্তাহ আগে তুরস্কের সমর্থনে হাফতারের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান শুরু করে জিএনএ। তীব্র আক্রমণের মুখে একের পর এক শক্ত ঘাঁটি ও কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কোনঠাসা হয়ে পড়েন হাফতার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও হুমকি সত্তে্বও জিএনএ দ্বারা পরিচালিত ত্রিপোলির বিভিন্ন অঞ্চলে হাসপাতালে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বারবার হামলা চালায় হাফতার বাহিনী। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বুধবার বলেছে যে, এলএনএ গত বছর একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল এবং তাদের আক্রমণে আটজন নাগরিক নিহত হয়, যাকে ‘আপাতদৃষ্টিতে বেআইনী’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল। এলএনএ এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সাল থেকেই বিভক্ত হয়ে যায় লিবিয়া। একদিকে উত্তর-পশ্চিমের কয়েকটি অঞ্চল ও পূর্ব বেনগাজির নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয় সেনাবাহিনীর সাবেক জেনারেল খলিফা হাফতার এবং অন্যদিকে লিবিয়ার বাকি অংশ ও রাজধানী নিয়ন্ত্রণ থাকে ত্রিপোলির জাতিসংঘ সমর্থিত জিএনএ সরকারের হাতে। হাফতার ত্রিপোলি দখলের জন্য এক বছর আগে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, তবে জিএনএ-এর সমর্থক বাহিনী এই মাসে তুরস্কের সামরিক সহায়তায় বেশ কয়েকটি অঞ্চল ফিরিয়ে নিয়েছে, বিশেষত পূর্বের সরবরাহের লাইনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলার মাধ্যমে। উল্লেখ্য, গত সোমবার টেলিভিশনে দেয়া বক্তৃতায় জেনারেল হাফতার ২০১৫ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় সই হওয়া চুক্তি বাতিল করে লিবিয়ায় নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পরেই বুধবার চাপের মুখে তার বাহিনী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। এলএনএ-র প্রধান দুই সমর্থক মিশর ও রাশিয়া এই পদক্ষেপের সমর্থন বা প্রত্যাখ্যান করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুদ্ধ-বিরতি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ