গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : মিডিয়া এখন ফ্যাসিবাদের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন- বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদ। তিনি বলেন, সরকার মিডিয়াকে নিজেদের দুঃশাসনের সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করছে। কোনো কোনো মিডিয়া বাধ্য হয়ে আবার অনেক মিডিয়া সহযোগিতার নামে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এসব মিডিয়াকে একদিন জনতার আদালতে দাঁড়াতে হবে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন হলরুমে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিল ও সাংবাদিকদের ঈদ পুনর্মিলনীতে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। শওকত মাহমুদের কারামুক্তি উপলক্ষে এবং কারাবন্দী সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানের আরোগ্য ও মুক্তি কামনায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবদুস শহীদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব মোদাব্বের হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, ডিইউজের সহ-সভাপতি খুরশেদ আলম, যুগ্ম সম্পাদক শাহীন হাসনাত, সাংবাদিক নেতা নুরুল আমীন রোকন, আনোয়ারুল কবীর বুলু, কায়কোবাদ মিলন, শাহীন চৌধুরী, আবু ইউসুফ, রফিক মুহাম্মদ, কামার ফরিদ, বাছির জামাল, জাকির হোসেন, গোলাম আজাদ, শেখ রকিব উদ্দিন, জসীম মেহেদী, ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মো: আব্বাস আলী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কারামুক্ত শওকত মাহমুদকে বিএফইউজে, ডিইউজে, জাতীয় প্রেসক্লাব, কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন, সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুর, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহ, ডিইউজের দৈনিক আমার দেশ, দিনকাল, সংগ্রাম ও বাসস ইউনিট, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশন, মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
দোয়া-পূর্ব আলোচনায় রুহুল আমিন গাজী বলেন, আইনের প্রতি বর্তমান সরকার কোনো তোয়াক্কা করছে না। দেশে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা নেই। সত্য কথা বললেই কারাগারে যেতে হয়। শওকত মাহমুদ অপরাধ না করেও দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন। এছাড়া অপরাধ না করেও মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমান কারাবরণ করছেন।
বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুল্লাহ বলেন, সরকারের রক্তচক্ষুর সামনে আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে। বর্তমানে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে সাংবাদিকদের জীবন ও জীবিকা। শওকত মাহমুদের নেতৃত্বে কারাবন্দী সাংবাদিকদের মুক্তি ও বন্ধ গণমাধ্যম খোলার আন্দোলন আরো শাণিত হবে বলে তিনি আশা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।