বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরপুর জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণে নানা অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত ভাতভোগীদের কার্ড না দিয়ে তা বেশী দামে বিক্রি করে অবৈধভাবে অতিরিক্ত টাকা আত্মসাত করে আসছে। এ অভিযোগে ইতিমধ্যে দুই জন ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের জামানতের টাকা। ধরা ছুয়ার বাইরে রয়েছে মূল হোতারা।
শেরপুরের নকলা উপজেলার ৭নং টালকী ইউনিয়নে ২ জন ডিলার যথাক্রমে ফরিদ মিয়া ও আব্দুর রেজ্জাক। দুজনই ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন আকন্দের ভাতিজা ও সম্বন্ধি। বেলায়েতের টাকাতেই টাকায় চালের চালান আনা হয়। লাভের কিছু অংশ দেয়া হয় দুইজনকে আরা বাকী টাকা নিয়ে নেন জনাব বেলায়েত হোসেন। তাই সবকিছু নিয়ন্ত্রন করেনও তিনিই। বেলায়েতের বিরুদ্ধে স্থানীয় কার্ডধারীদের রয়েছে নানা অভিযোগ।
কার্ডধারীদের অনেকেরই অভিযোগ মাসেরপর মাস তাদের কার্ড তাদেরকে না দিয়ে কার্ড আটকে রেখে, সেই কার্ডের চাল অন্যত্র বেশী দামে বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা আত্মসাতের অভিযোগও বেলায়েতের বিরুদ্ধেই। কার্ডধারীদের কার্ডে ডেলারের লোকেরা নিজেরাই টিপসহি দিয়েছে।
সম্প্রতি বঞ্চিত কার্ডধারীদের পক্ষ থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ করা হলে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি তদন্ত কামটি করে দেয়া হয়। এতে অভিযোগ প্রমানিত হলে ডিলার ফরিদ মিয়া (পেশায় একজন দর্জি)
এর ডিলারশীপ বাতিল করা হয়। একই সাথে তার জামানতও বাজেয়াপ্ত করা হয়। কিন্তু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান জানান, মূলত ডিলারশীপ পরিচালনা করতো বেলায়েত হোসেন। তার বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ রয়েছে। ফরিদ নির্দোষ ছেলে।
অবশ্য নিজিকে নির্দোষ দাবী করেন আওয়ামলীগ নেতা বেলায়েত হোসেন। তবে শিকার করেন ডিলার তার একজন ভাতিজা, আর একজন সম্বন্ধি। নিয়ম মাফিকই ভাতিজা আর সম্বন্ধি ডিলার হয়েছে। ফরিদের চালের চালানের টাকা বেলায়েত হোসেনই দিয়ে আসছে।
ডিলার ফরিদ মিয়া জানান, তার চাচার টাকাতেই চালের চালান করা হয়। লভ্যাংশের অর্ধেক নেন চাচা বেলায়েত হোসেন। তিনি অভিযোগের বিষয়ে দাবী করেন, সে কোন অনিয়ম করে নাই।
এদিকে কার্ড নবায়ন করার কথা বলে একশ করে টাকা অবৈধভাবে আদায়ের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বন্ধনা চাম্বু গংএর স্বামী রিপন চিরাং এর ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে। তার জামানতের টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। উভয় ঘটনায় উপজেলা খাদ্য অফিসের পক্ষ থেকে দুই ডিলারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগ দূর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হবে বলে জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ তারা তাদের ন্যায্য চাল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত ও যিনি টাকা নিয়েছেন তাদের কিছু না হয়ে শুধুমাত্র ডিলারে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় খুশি নয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জানান, তারা যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাকীটা দূদক দেখবে। নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মি: জাহিদুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত করে ঘটনা সত্যতা পাওয়ায় আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বাকীটা দুদক দেখবে।
তবে ঘটনার সাথে ডিলারের অন্তরালে জড়িত প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবী স্থানীয়দের। পরবর্তী তদন্তে এ অভিযোগ প্রমানিত হবে বলে তারা মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।