পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাকালে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুয্গো নিয়ে রাজস্ব ফাঁকির তোড়জোড় থেমে নেই।
তবে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর ভিত্তিক রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের সতর্কতায় এমন একটি অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
মিথ্যা ঘোষণা চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আনা ২১ মেট্রিক টন শিশুখাদ্যের চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
জলপাই ও চীনাবাদামের ঘোষণা দিয়ে আনা হয় শিশুখাদ্যের এ চালান। এর মাধ্যমে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৬০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার বিকেলে শিশুখাদ্যের চালানটি জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআইআর) শাখার কর্মকর্তারা।
কাস্টমসের এআরআই শাখার সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা অনসূয়া জানান, ঢাকার সিয়াম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান জলপাই ও চীনাবাদাম আমদানির ঘোষণা দিয়ে ঋণপত্র খোলে।
পণ্যের চালান বন্দরে আসার পর কাস্টমসে খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। চালান ছাড় নেওয়ার দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজ।
কিন্তু খালাসের আগে চালানটি খুলে কায়িক পরীক্ষায় দেখা যায়, চালানে জলপাই ও চীনাবাদাম নেই। এর বদলে মালয়েশিয়া থেকে আনা হয় ল্যাকটোজেন বেবি মিল্ক পাউডার। চালানে ১ হাজার ৯৫০ কার্টনে আছে ২১ হাজার ৬০ কেজি গুঁড়োদুধ।
কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেন, এই চালান আমদানিতে তিনভাবে নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি হয়েছে। জলপাই ও চীনাবাদাম আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক আসে ৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। আর গুঁড়োদুধের ক্ষেত্রে শুল্ক আসে ৬৮ লাখ টাকা।
আমদানি নীতিও লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমদানি নীতিতে বলা আছে, শিশুখাদ্যের প্যাকেটে অবশ্যই ‘মায়ের দুধের বিকল্প নেই’ লেখা থাকতে হবে। কিন্তু চালানে আসা গুঁড়োদুধের প্যাকেটে সেটা লেখা ছিল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।