Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেড়যুগ পর সেলিম মালিকের দুঃখ প্রকাশ!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ৫:০৩ পিএম

পুরনো অপরাধের জন্য দীর্ঘ দেড়যুগ পর দুঃখ প্রকাশ করলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সেলিম মালিক! ম্যাচ পাতানোর দায়ে ২০০০ সালে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। পরে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হলেও ততদিনে সেলিম মালিকের ক্যারিয়ার প্রায় শেষ। অতীতের চরম ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে ১৯ বছর পর দুঃখ প্রকাশ করে নিজের কৃতকর্মের সবকিছু এখন প্রকাশ করতেও রাজি সেলিম মালিক। ২৬ এপ্রিল এক ভিডিও বার্তায় মালিক বলেন, ‘১৯ বছর আগে আমি যা করেছিলাম সেটির জন্য খুবই দুঃখিত। এ ব্যাপারে আইসিসি ও পিসিবিকে আমি নিঃশর্তভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে তৈরি।’

সেলিম মালিক ১৯৮২ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত ১০৩টি টেস্ট ও ২৮৩ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। এই ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে তার বিরুদ্ধে মারাতœক অভিযোগ ছিল একটিই। যার জন্য তিন বছর ধরে তদন্ত চলে। মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের পাকিস্তান সফরের সময় তিনি নাকি অস্ট্রেলিয়ার তিন তারকা ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন, মার্ক ওয়াহ এবং ও’টি মেকে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যাতে তারা খারাপ খেলেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন বছর ধরে তদন্ত শেষে ২০০০ সালে কাইয়ুম কমিশন আজীবন নিষিদ্ধ করে মালিককে।

আশি ও নব্বই দশকে সেলিম মালিককে ধরা হতো পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। অথচ তার বিরুদ্ধেই আজীবন নিষেধাজ্ঞার আদেশ! যদিও মালিকের বিরুদ্ধে আজীবন নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ পাকিস্তানের নি¤œ আদালতে বাতিল হয় ২০০৮ সালে। কিন্তু তাতেও পাপমোচন হয়নি তার। ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো কিছুতেই মালিককে জায়গা দিতে নারাজ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। মালিক ২০০৮ সালে হতে চেয়েছিলেন পাকিস্তান ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির কোচ। এর চার বছর পর ২০১২ সালে পাকিস্তান জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ হওয়ার আবেদনও করেছিলেন। তবে দু’বারই তাকে উপেক্ষা করে পিসিবি। কেন তার জন্য পিসিবির দুয়ার বন্ধ? দু’দিন আগে তার ব্যাখ্যায় পিসিবির একটি সূত্র জানায়, সেলিম মালিক নিজের কর্মের ব্যাখ্যা বোর্ডকে কখনোই দিতে রাজি হননি। তাই তার ব্যাপারে আগ্রহ ছিল না বোর্ডের।

মালিকের পাল্টা প্রশ্ন, ম্যাচ পাতানোর দায়ে পাকিস্তানের অনেক নিষিদ্ধ খেলোয়াড় পরে ক্রিকেটের বিভিন্ন কার্যক্রমে ফিরতে পারলে, তিনি কেন পারবেন না? এ প্রসঙ্গে ৫৭ বছর বয়সী পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন,‘মোহাম্মদ আমির, সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও শারজিল খান খেলার সুযোগ পেয়েছে (নিষেধাজ্ঞার পর)। সেখানে আমি উপেক্ষিতই থেকে গেছি। এমনকি কোচও হতে পারিনি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেলিম মালিক
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ