বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাস রোধে ২৬ মার্চ থেকে কয়েক দফা বাড়ানোর পর ৫ মে পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এ সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকবে গণপরিবহন ও সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান।
বন্ধ ছিল পোশাক খাতও। তবে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোববার (২৬ এপ্রিল) থেকে রফতানিমুখি পোশাক কারখানাগুলো সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিজিএমইএ। সে অনুযায়ী রোববার সকালে সাভারের বেশিরভাগ কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ছুটি পেয়ে যারা গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন, তারা যে যেভাবে পেরেছেন, সাভারে ফিরে যোগ দিয়েছেন কর্মস্থলে।
রোববার সকালে সাভারের বাড়ইপাড়া, জিরানীবাজার, বাইপাইল, নবীনগর, কাঠগড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ কারখানাই খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড দিয়ে হেঁটে হেঁটে কারখানায় যাচ্ছিলেন পোশাক শ্রমিক নাসরিন। তিনি বলেন, গতকাল সুপারভাইজার ফোন করে বলেছে, আজ থেকে তাদের কারখানা খুলে দেবে। বাস বন্ধ, তাই কখনও ট্রাকে, কখনও পিকআপ ভ্যানে, অটোরিকশায় করে আবার কখনো পায়ে হেঁটে প্রায় ১৬ ঘণ্টায় সাভারে এসেছি।
ডিইপিজেড বাসস্ট্যান্ড দিয়ে কারখানায় যাচ্ছেন মরিয়ম নামের এক পোশাক শ্রমিক। তিনি বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ বলেছে, সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তারা নিয়েছে। আল্লাহর ওপর ভরসা করে মাস্ক পড়ে কারখানায় যাচ্ছি। হায়াত থাকলে কিচ্ছু হবে না ইনশাআল্লাহ।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বলেন, আজ এ শিল্পাঞ্চলের অর্ধেকের বেশি কারখানা খুলে দিয়েছে। শ্রমিকরাও কাজে যোগ দিয়েছেন। তারা কে কোন এরিয়া থেকে এসেছেন, করোনা আক্রান্ত এলাকা কি না, তা আমরা জানি না। বিভিন্ন জেলার শ্রমিকরা এসেছেন। তারা কাজও করবেন একই ছাদের নিচে। এতে করোনা ঝুঁকি বাড়ল শ্রমিকদের। দেশের স্বার্থে কারখানা খোলা রাখতে হবে। তবে বিভিন্ন জেলা থেকে ফেরা শ্রমিকরা ১৪ দিন ঘরে সঙ্গরোধে ( হোম কোয়ারেন্টাইনে) থাকার পর কাজে যোগ দিলে ভালো হতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।