Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ আইসোলেশনে করোনায় আক্রান্ত একজনের মৃত্যু

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪৯ এএম | আপডেট : ১১:১৫ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২০

রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ সকালে রাজশাহী সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে (আইডি) আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত ব্যক্তির নাম আব্দুস সোবহান (৮০)। তার বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গাওপাড়া গ্রামে। ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত ২০ এপ্রিল ৮০ বছরের এই বৃদ্ধের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আক্রান্ত বৃদ্ধের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার উৎস পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, আব্দুস সোবহান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ২০ এপ্রিল সকালে তাকে আইডি হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। পরে রাতে তার করোনা পজিটিভ বলে রিপোর্ট আসে।
ওই রোগী রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে সেখানকার চিকিৎসক-নার্স ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে ২১ এপ্রিল হাসপাতালের ২১ চিকিৎসক ও ১২ নার্সসহ ৪২ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। তবে গত বুধবার এবং বৃহস্পতিবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এতে কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়াও বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় একটি ক্লিনিকেও চিকিৎসা নেন আব্দুস সোবহান। ওই দুই প্রতিষ্ঠানের ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। তাদেরও পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, ওই বৃদ্ধ ফেরি করে বাঁশের তৈরী বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করতো। এ বয়সেও তিনি এ কাজ করতে। সম্প্রতি তিনি আশাপাশের গ্রামে গিয়ে তার তৈরী সামগ্রী বিক্রি করেছেন। এরপর তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রথমে তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। এর পর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সেখান থেকে গত ১৭ এপ্রিল তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০ এপ্রিল এক্স-রে করার পর করোনার লক্ষণ ধরা পড়ে। এরপর তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।
রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট আটজন করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও তিনজন পুরুষ। আক্রান্তদের মধ্যে পুঠিয়া উপজেলায় পাঁচজন, বাগমারায় একজন, মোহনপুর একজন ও বাঘা উপজেলায় একজন। এদের মধ্যে সাতজনই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও গাজিপুর থেকে এসেছেন। তারা নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ