পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর’। ‘কান্ট্রি মুভস উইথ আস’। উভয় প্রতিপাদ্য স্লোগান ধারণ ও লালন করে সুদীর্ঘ প্রাতিষ্ঠানিক পথ পরিক্রমায় দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের ১৩৩তম প্রতিষ্ঠবার্ষিকী আজ। বর্ষে করছে আজ। প্রতিবছর এ উপলক্ষে একাধিক দিনব্যাপী জমকালো আয়োজন থাকলেও এবার করোনা মহাদুর্যোগ পরিস্থিতির বাস্তবতায় নীরবেই অতিবাহিত হচ্ছে বন্দরের জন্মদিবস।
গতকাল নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, করোনা সঙ্কটকাল কেটে গেলে আমরা পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে মুজিববর্ষের বিশেষ আঙিকে বন্দরদিবস উদযাপনের উদ্যেগ নেবো ইনশাআল্লাহ। জাতীয় স্বার্থে বন্দর সার্বক্ষণিক সচল আছে। কন্টেইনারজট হ্রাসে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে নিরাপদ, ভূ-প্রাকৃতিক ও কৌশলগত সুবিধাজনক পোতাশ্রয় এ অঞ্চলের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন। ১৮৮৭ সালে ব্রিটিশ শাসনকালে পোর্ট কমিশনার্স অ্যাক্ট প্রণয়ন, ১৮৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে কার্যকরী করার মধ্যদিয়েই চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার সূচনা।
আধুনিক শিপিং বিশ্বে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক কন্টেইনার সমুদ্রবন্দর। দেশের ৯২ শতাংশ আমদানি-রফতানি তথা বৈদেশিক বাণিজ্য সামাল দিচ্ছে। প্রধান সমুদ্রবন্দর তথা কাস্টম হাউসের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ এবং অন্যান্য রাজস্ব, করসহ পরোক্ষভাবে সরকারের রাজস্ব জোগান আসছে বার্ষিক প্রায় পৌনে এক লাখ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিবছরই মুনাফা অর্জনকারী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়। বন্দরের অর্থায়নে নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ ছাড়াও পায়রা বন্দর এবং মহেশখালীর মাতারবাড়ী-ধলঘাট গভীর সমুদ্রবন্দর মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
১৯৭৬ সালে একটি সাধারণ জাহাজে মাত্র ছয়টি কন্টেইনার দিয়ে যাত্রা শুরু করে গেল বছর চট্টগ্রাম বন্দর ৩১ লাখ ইউনিট আমদানি-রফতানি কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। সগৌরবে স্থান পেয়েছে ‘লয়েডস লিস্ট’-এর ২০১৯ সালের বিশ্বসেরা কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে পারদর্শী একশ’টি সমুদ্রবন্দরের কাতারে। চট্টগ্রাম বন্দর ৬ ধাপ এগিয়ে উন্নীত হয়েছে ৬৪তম অবস্থানে। ২০১৮ সালে ছিল ৭০তম, ২০০৮ সালে ছিল ৯৫তম স্থানে।
করোনা সঙ্কটে সর্বশেষ জট পরিস্থিতি প্রসঙ্গে গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বর্তমানে সবক’টি ইয়ার্ডে ৪৭ হাজার ৪৩৯ ইউনিট কন্টেইনার রয়েছে। স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার ১৮ ইউনিট। যা গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কমেছে। এ সময়ে ২ হাজার ৯৮৮ কন্টেইনার ডেলিভারি হয়। আমদানি উঠানামা হয়েছে ৫৫৮৪ কন্টেইনার। ৮টি জাহাজ জেটিতে আমদানি কন্টেইনার খালাস করছে। বহির্নোঙরে জটে অপেক্ষা করছে আরও ৩২ জাহাজ। জেটিতে সাধারণ পণ্যবাহী ৭টি জাহাজে খালাস কাজ চলছে। ১৯টি আইসিডিতে (অফডক) আসদানি পণ্য যাচ্ছে। ক্রমশ বন্দরজট কমে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।