বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
২৬ দিন ধরে বগুড়ার ডাক্তার, নার্স,পুলিশ ও মিডিয়া কর্মিদের নিরলস চেষ্টায় করোনাকে হারাতে
পেরেছে শাহ আলম (৫৫)।
শুক্রবার তাই বগুনা মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের করোনা আইসোলেসন ওয়ার্ড থেকে তাকে
আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হল তাকে। করোনা বিজয়ী শাহ আলমের বাড়ি বিভাগীয় নগর রংপুরের ধাপ এলাকায়।
২৭ দিন আগে ঢাকা থেকে কর্মজীবী শাহ আলম কর্মহীন হয়ে
একটি ট্রাকের ওপরে চড়ে ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। তবে ভোরে শাহ আলমকে বহনকারী ট্রাকটি যখন মহাস্থান এলাকায় পৌঁছে তখন তার কাশির ধরন দেখে করোনা রোগী ভেবে সেখানে নামিয়ে দেয়।
পরদিন সকালে শিবগঞ্জ থানার পুলিশ তাকে নিয়ে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ও পরে তাকে বগুড়ার
শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
মেডিকেলের চিকিৎসকরা তার মধ্যে করোনার সিম্পটম লক্ষ্য করে তাকে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে পার করে।
এখান থেকে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হলে ফলাফল আসে পজিটিভ।
ফলে তাকে উদ্ধার ও হাসপাতালে প্রেরন ও প্রাথমিক চিকিৎসাদানকারী ডাক্তার
ও নার্স মিলিয়ে মোট ১৪ জনকে হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়।
এদিকে আইসোলেশন ইউনিটে চলতে থাকে শাহ আলমের চিকিৎসা।
ফলাফলে ২ সপ্তাহের পর ১৪ দিনের হোম কোয়ারান্টাইনে যাওয়া ১৪ জনের
করোনা পরীক্ষার ফল যেমন নেগেটিভ আসলে সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। তেমনি ২৬ দিনের চেষ্টায় শাহ আলম সুস্থ্য হয়ে উঠলে এবং চুড়ান্ত পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে শুক্রবার তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শফিক আমিন কাজল সন্তোষ
প্রকাশ করে জানান, শাহ আলমের
সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরতে পারার ঘটনাটি সবার জন্য একটা শুভ সংবাদ।
এছাড়া বগুড়ায় আইসোলেশনে চিকিৎসা নেওয়া প্রথম ঘটনাও এটা। যা অন্য রোগী ও চিকিৎসায়
সংশ্লিষ্ট সবার সাহস ও মনোবল
বাড়িয়ে দেবে বলেও উল্লেখ করেন
ডাক্তার শফিক আমিন কাজল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।