Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নওগাঁর রাণীনগরে কৃষকের ধান কেটে দিলো ছাত্রলীগ

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০২০, ২:৩৫ পিএম

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতী করোনা ভাইরাস। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। কর্মহীন হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। বিপাকে শ্রমজীবীরা। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে জেলায় জেলায় চলছে লকডাউন। বাহিরের জেলার সাথে নওগাঁর যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করা হয়েছে। একপ্রকার ঘরবন্দী জীবন যাপন চলছে। কর্ম না থাকায় বিপাকে পড়তে হয়েছে নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের। ঘরে বন্দী থেকে তারা এখন অসহায়। এ বন্দীদশা থেকে কবে মিলবে মুক্তি না কেউ বলতে পারছে না।

এরইমধ্যে ইরি-বোরো ধান পাকতে শুরু করেছে। লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটে পড়েছে। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতঙ্কে ধানকাটা শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে ধান কাটা মাড়াইয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। ইতোমধ্যে নওগাঁ রাণীনগর উপজেলা ছাত্রলীদের উদ্যোগে কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার গোনা ইউনিয়নের বড়বড়িয়া মাঠের কৃষক জিল্লুর রহমানের প্রায় ৩বিঘা জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে প্রায় অর্ধ-শতাধিক ছাত্রলীগের কর্মীরা। ছাত্রলীগের এমন উদ্যোগকে প্রশংসা করছেন সচেতনরা।

ছাত্রলীগরা এসে ধান কেটে দেয়ায় এসময় কৃষক জিল্লুর রহমান আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, শ্রমিক সঙ্কটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। এলাকায় যে পরিমাণ শ্রমিক আছে মজুরি বেশি। আকাশের অবস্থা মাঝে মধ্যে খারাপ হচ্ছে। ঝড় হলে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তাই বাধ্যহয়ে ছাত্রলীগের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারাও কোন টাকা পয়সা ছাড়াই ধান কেটে দিতে রাজী হন। ছাত্রলীগের ছেলেরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছে তা ভোলার নয়। কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও সাধারন সম্পাদক হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অন্য জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক না আসায় বিপাকে কৃষকরা। শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক অসহায় ও বর্গাচাষী কৃষক ধান কাটতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে প্রান্তিক কৃষকের ধান কাটার কাজ শুরু করেছি।

তারা আরো বলেন, এই করোন মহামারিতে অসহায় ও বর্গাচাষী কৃষকদের পক্ষে শ্রমিকদের মজুরি দেয়া কষ্টসাধ্য। আমাদের পক্ষ থেকে ওইসব কৃষকদের সহযোগীতা করা হচ্ছে। আগামীতে অসহায় ও বর্গাচাষী কৃষকদের সহযোগীতা অব্যহত থাকবে। যে কোন কৃষক শ্রমিক সংকটে যদি ধান কাটতে না পারেন তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা সেই কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়ে আসবো। আর এই কাজের জন্য উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মীরা প্রস্তুত আছে।

এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুমন মাহমুদ, জেমস পিকে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ আশিক, নাদিম মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন লিখন, শের-এ বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম রাব্বি, সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম তুষার, সদর ইউপি যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাহিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন বীন প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলা ছাত্রলীগ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ