Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ফিরবেন আবার স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাশা সবার

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫২ পিএম

পুরো পৃথিবীতে এখন সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। যে কারণে এই দেশের মানুষেরও মধ্যেও বিরাট আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারপরও সবার প্রত্যাশা শিগগিরই সবার জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে। এমনই প্রত্যাশা করছেন তারকারাও। নিরাপদ জীবনের প্রয়োজনে তারকারাও ঘর বন্দী সময় কাটাচ্ছেন। ঘর বন্দী সময় কাটাচ্ছেন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী, নন্দিত নাট্যাভিনেত্রী-পরিচালক-সঙ্গীতশিল্পী রুমানা রশীদ ঈশিতা, অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। ঘরে বসেই প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী মানুষকে নানানভাবে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করছেন ফেসবুকে লাইভে এসে। মৌসুমী বলেন,‘ নতুন পৃথিবীতে হয়তো আমরা কেউ থাকবো, কেউ থাকবো না, করোনা ভাইরাসের সাথে যে যুদ্ধ আমাদের তাতে আমাদের জিততে হবে। কেউ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাবেন না। সবার জন্য শুভ কামনা।’ ঈশিতা বলেন,‘ সত্যি বলতে কী আমাদেরতো ঘরে থাকবার কথা। সরকার বাসায় বাসায় গিয়ে আমাদের ঘরবন্দী করে রাখতে পারবেন না। আমরা যারা প্রাপ্ত বয়স্ক, তাই আমাদের ভালো মন্দটা আমাদেরই বুঝতে হবে। আমার দুই সন্তানকে নিয়ে আমি ঘরের মধ্যেই নিরাপদে অবস্থান করছি। দুই বাচ্চার স্কুল’র কাজ নিয়েই সময় কেটে যাচ্ছে আমার। পাশাপাশি রান্না করেও সময় কাটছে আমার। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বই পড়ছি। আমি বিশ্বাস করি সুন্দর দিন ভালো দিন আবার ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ। যে যার ধর্মমতো আমরা যেন আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই যেন এমন সময়টা কেটে গিয়ে ফিরে আসে স্বাভাবিক জীবন।’ গেলো ১৭ মার্চ থেকে ঘরের মধ্যেই নিরাপদ সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী বাঁধন। এরমধ্যে শুধু একদিন তিনি বাইরে গিয়েছিলেন বাজার করার জন্য। বাঁধন বলেন,‘ বাসায় আমার বাচ্চা এবং বাবা মাকে বেশি সময় দিচ্ছি। নিজের প্রতিও খেয়াল রাখছি। আমাদের মিডিয়ার আগামীদিন কেমন হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। তবে এটা বলতে পারি আমরা একটা নতুন পৃথিবীতে প্রবেশ করবো। সবার উদ্দেশ্যে আমি একটি কথা বলতে চাই, আর তা হলো প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব বাসায় থেকে সরকারের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করা। আর সবারই যার যার অবস্থানে থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করা যাতে যারা অভাবে আছে তাদের যেন কষ্ট লাগব হয়। আমাদের উচিত পশু পাখিকেও খাবার পানি দিয়ে সহযোগিতা করা।’ মৌসুমী, ঈশিতা, বাঁধন ও মিম যারা এই দুর্যোগে ফ্রণ্ট লাইনে দাঁড়িয়ে কাজ করছেন তাদেরকে (আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক) শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়েছেন। বিদ্যা সিনহা মিম তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী’র পাঁচশত পরিবারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মিম বলেন,‘ আমি আমার নিজের অবস্থান থেকে কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। কিছু সহযোগিতার কথা মানুষ জেনে গেছেন। আবার নীরবে নির্র্ভতেও কিছু মানুষকে সহযোগিতা করছি যে কথা কেউ জানেন না। ব্যবসায়ীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ আমার, প্লিজ এই দুর্যোগকালে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়াবেন না। এমন সংকটসময় মুহুর্তে অবৈধভাবে টাকা কামানো থেকে প্লিজ বিরত থাকুন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ