Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেঘ-বজ্রবৃষ্টির চট্টগ্রাম, করোনা-কারণে ‘ঘরে থাকা’ সিউর হলো

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২০, ৪:২৫ পিএম

দিনের শুরু বৈশাখের জ্বলমলে রোদ দিয়ে। সকাল পার না হতেই আকাশে মেঘের আনাগোনা। হঠাৎ আকাশজুড়ে কালোমেঘ। অন্ধকার হয়ে আসে চট্টগ্রাম। হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে কিছু গাড়ির চলাচল। আর শুরু হয়ে যায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। মাঝেমধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত।
ঝটিকা বৃষ্টিতে কাকভেজা হন পথচারী-কর্মজীবীরা। সড়ক রাস্তাঘাট কাদা-পানিতে সয়লাব নগরীর বিভিন্ন স্থানে। কোথাও কোথাও গাছে ডালপালা ভেঙে পড়েছে। দমকা বাতাসে ঝরা পাতার সাথে কচি আমও ঝরে পড়েছে। কুড়িয়ে নেয় শিশু-কিশোর, বুড়োও।
সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল অবধি আজ মঙ্গলবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামের এমনটাই চিত্র বৈশাখী আবহাওয়ার। বৃষ্টি ঝরছে হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি। টুং টাং শব্দ তুলে কিছু রিকশা চলছে। তেমনি শাক-সবজির ভ্যান। মাঝেমধ্যে মোটর গাড়ি চলাচলের আওয়াজ। তাও তেমন বেশি নয়।
করোনা-কারণে গৃহবন্দি মানুষজন। মানুষের কোলাহল হারিয়ে যেন হা-হতাশ করছে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। বন্দরনগরী সুনসান। প্রায় ফাঁকা। তবুও রোজার আগে বাজারে কেনাকাটায় আজও ব্যস্ততা ছিল সকাল থেকে। তাতে কিছুটা ছেদ পড়লো।
দিন এনে দিনে খাওয়া গরিব মজুর কুলি-মাঝি, সবজিওয়ালা, শ্রমিক মানুষগুলোর আয়-রোজগারে বাগড়া দিয়েছে বৈরী আবহাওয়া।
তবে আজকের চট্টগ্রাম মহানগরীতে বৈশাখী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া, বজ্রবৃষ্টির এই ‘খারাপ আবহাওয়া’ সুফলও দিয়েছে। কারণ অযথা বড়িঘরের বাইরে যাওয়ার বাতিক ও হুজুগ যারা ছাড়তে পারেনি, করোনা সংক্রমণরোধে নিজ বাড়িঘরে তাদের থাকার জরুরি দরকারটা তো সিওর হলো।
তারা এক প্রকার বাধ্যগত হলেন। ওদের পরিবার-পরিজনও খুশি বটে।
তাছাড়া নগরে দূষণ ও রাস্তাঘাটে আবর্জনা বৃষ্টিতে ধুয়ে নিয়েছে।
তবে বৃষ্টিপাতের মাত্রা আজ হোক বা কাল হোক যখনই বাড়বে তাতে চট্টগ্রামে সেই পানিবদ্ধতা সমস্যার পুরনো কাসুন্দি ফিরে আসবে। চেপে বসবে কষ্ট-দুর্ভোগ। এ নিয়েও নগরবাসীর মাঝে দুশ্চিন্তা শুরু হয়ে গেলো।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, বর্তমানে সমুদ্রে কোনো সতর্ক সঙ্কেত নেই। এ মুহূর্তে কোনো লঘুচাপ-নিম্নচাপ নেই বঙ্গোপসাগরে।
গত ২৪ ঘণ্টায়ও দেশের অনেক জেলায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার সাথে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। তাপমাত্রা রয়েছে বৈশাখের এ সময়ের তুলনায় সহনীয়। স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে।
সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সবক’টি বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় সর্বোচ্চ বর্ষণ ভোলায় ৪০ মিলিমিটার।
চলতি সপ্তাহজড়ে দেশের অনেক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় এবং দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ