বিশ্বব্যাপি করোনার মহামারিতে জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। সেই বিপর্যয়ে যোগ হয়েছে বাংলাদেশ।

করোনায় ভায়াল থাবা হতে বাঁচতে বাংলাদেশ সরকার প্রধান বাংলাদেশ কে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সাধারণ মানুষের চলাফেরা নিষেধাক্কাসহ নানান দির্দেশনা প্রদান করেছে।

প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দিনমজুর খেটেখাওয়া ও এই সময় কর্মহীনদের জন্য বিশেষ প্রনোদনা ঘোষণা করেছেন। গরীব ও দুস্থদের কল্যাণে দলীয় এমপি, মন্ত্রী, চেয়ারম্যান , জনপ্রতিনিধিদের তাদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। এসব জনপ্রতিনিধিরা তা বাস্তবায়ন করতে মাঠ পর্যায়ে দিনরাত পরিশ্রম করছে।

রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী তার নির্বাচনি এলাকায় (গোদাগাড়ী-তানোর) নিজে ও দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যানদের নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) দিনভর গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম মোহনপুর ইউনিয়নে গরীব ও দুস্থদের জন্য প্রধান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারকৃত চাল ওজনের পরিমাপ ঠিক আছে কিনা তা তদারকি করেন এবং তা প্রত্যেক উপকার ভোগীতের মাঝে ১০ কেজি চাল তুলে দেন। এছাড়াও প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে দেন। এছাড়াও সেখানে শিশুদের জন্য শিশু খাদ্য বিতরন করেন।

এরপরে পাকড়ি ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম সহ বিভিন্নগ্রামে হটলাইনে রাজশাহী-১ গোদাগাড়ী-তানোর এর সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীকে ম্যাসেজ করে খাদ্য সহযোগিতা চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান এমপি ফারুক চৌধুরীর পক্ষে ৫০ টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী উপহার দেয়।

গোদাগাড়ী ইউনিয়নে ৪০ জন মোটর শ্রমিককে প্রধান মন্ত্রীর উপহার ১০ কেজি করে চাল ও প্রত্যেককে ৫০০ টাকা করে তুলে দেন।

একই সাথে এই করোনায় মাহদূর্যোগের কথা চিন্তা করে এবং সামাজিক ও শারিরীক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যেগে গোদাগাড়ী সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে গোদাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে বয়স্ক ,বিধবা ও প্রতিবন্ধি সহ ভাতাভোগীদের মাঝে ভাতার টাকা পৌছে দেওয়া হয়।

এই সময় উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনা মহামারিতে বিশ্ব আজ বিপর্যস্থ।

মানুষ কষ্টে জীবন যাপন করছে। অনেকেই কর্মহারিয়ে বাড়ীতে বেকার সময় পার করছে। দেশরত্ন প্রধান মন্ত্রী তাদের কথা চিন্তা করে খাবারের ব্যবস্থা করছে। এইসব খাবার চাল,ডাল নিয়ে কেউ কোন কারচুপি করলে তা সহ্য করা হবে না। কঠোর হস্তে দমন করা হবে। স্থানীয় এমপির বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের এমপি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন কেউ যদি ১ কেজি চালেরও দুর্নীতি করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। গরীবদের অন্ন গরীবদের পাই পাই করে বুঝিয়ে দিতে হবে। তাই যারা এসব করছেন তারা সাবধান হয়ে যান। ফারুক চৌধুরীর স্পেশাল কিছু বানী দিয়রছেন তা গোপনে তদারকি করছে বলে হুশিয়ারি প্রদান করেন।