বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাস সংকটে নিম্ন বা মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্মহীন মানুষগুলোকে খাদ্য উপহার দিতে রাজশাহী-০১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী হটলাইন সার্ভিস চালু করেছেন।
ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন, দরিদ্র, শ্রমিক, নির্মান শ্রমিক, হোটেল বয়, ভ্যান চালক, পরের বাড়ীতে ও দোকানে কাজ করেন যারা যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, আয় রোজগার নেই, বাড়ীতে খাবার নেই, লোকলজ্জার ভয়ে ত্রাণ চাইতে পারেন না বা প্রকাশ্যে নিতেও পারেন না, তাদের জন্য তিনি এই সার্ভিস চালু করেছেন যা অব্যাহতভাবে চলছে। খাবার চেয়ে নির্ধারিত নম্বরগুলিতে কল করলে কিংবা এসএমএস দিলেই সেই বাড়িতে খাবার পৌঁছে যাচ্ছে।
গত ৬ এপ্রিল ওমর ফারুক চৌধুরী নিজের ফেসবুকে এই হটলাইন সেবার ঘোষণা দেন। এরপর গত দুই সপ্তাহে তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার প্রায় ২৭ হাজার পরিবারকে এই সেবা দিয়েছেন তিনি। রাতের বেলা সবার অগোচরেই এই খাবার সরবরাহ করছেন এমপির নিয়োগকৃত স্বেচ্ছাসেবক বাহনী।
এ বিষয়ে গত ৬ এপ্রিল ফারুক চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আপনারা কেউ যদি খাদ্যের অভাবে থাকেন তবে ০১৭১১৮১৯২৪৭ (এমপি ফারুক চৌধুরী), ০১৭১১০৬৮৪৫০ (জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান, গোদাগাড়ী) ০১৭১৬৩৮৯৯৬০, ( লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না, উপজেলা চেয়ারম্যান, তানোর) নম্বরে দ্বিধাহীন ভাবে এসএমএস করে নাম ও ঠিকানা জানান। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনার বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিবো ইনশাআল্লাহ’। এ ছাড়া সংসদীয় আসনের চারটি পৌরসভা ও ১৬ টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। এই নম্বরগুলোতে ফোন করলেই খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এসব বিষয়ে সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান, কিছু দরিদ্র মানুষ আছেন, যারা নিজে এসে ত্রাণ চেয়ে নিতে পারেন। কিন্তু মধ্যবিত্ত কিছু মানুষ আছেন, যারা চাইতেও পারেন না, আবার প্রকাশ্যে ত্রাণ নিতে আসতেও পারেন না। এসব পরিবারগুলোর কথা চিন্তা করেই এই হটলাইন সেবা চালু করেছি। তিনি বলেন, আমরা খুব বেশি পরিমাণে খাবার দিচ্ছি তা নয়। ৫ কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, এক কেজি আলু, আধা কেজি লবণ, আধা লিটার তেল, হাত ধোয়ার সাবান ও মাস্ক দিচ্ছি। গত দুই সপ্তাহে এসব এলাকায় অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে খাদ্য উপহার দেওয়া হয়েছে। এসব উপহার আমার নিজের তহবিলের। সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আলাদা ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমার নির্বাচনী এলাকার কোন দরিদ্র মানুষ যেন খাদ্যের অভাব না থাকে, তারা কষ্ট না পাই এ চিন্তা করেই হট লাইন চালু করা হয়েছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের দেওয়া হটলাইন নম্বরে কাউকে ফোন করার দরকার হয় না। এসএমএস দিলেই স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে এমপি সাহেবের পক্ষ থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে’। হট লাইনে এসএমএস দিয়ে খাবার পাননি এমন লোক এলাকায় পাওয়া যাবে না। প্রতিটি এলাকায় আমাদের দলের স্বেচ্ছা সেবক বহনী রয়েছে তারা খাবার নিয়ে প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিকে তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দ সরকারিভাবেই ইউএনওর মাধ্যমে বরাদ্দ হচ্ছে। হটলাইনে যারা ফোন করছেন, তাদের এমপি ফারুক চৌধুরীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রাতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিয়নেই আমাদের স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। তাদের মাধ্যমেই খাবার দেওয়া হচ্ছে। করোনার দুর্যোগ যতদিন চলবে, ততদিন এই খাদ্য উপহার বিতরণ চলবে’।
গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ বলেন, এমপি মহোদয়ের হট লাইনটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সরকারী খাদ্য সহায়তা প্রশাসনের লোক, মেয়র, কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারগণ দিচ্ছেন। এর পাশাপাশি এমপি সাহেব ব্যক্তিগতভাবে এ খাবার গুলি দলীয় স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। অশিক্ষিত লোক যারা এসএমএস করতে পারেন না তারা কিভাবে খাবার পাবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হট লাইনে মোবাইল করবেন অথবা এলাকার কাউকে দিয়ে এসএমএস করিয়ে নিবেন, দরিদ্র ব্যক্তির মোবাইল না থাকলেও তিনি খাদ্য সহায়তা পাচ্ছেন অন্য মোবাইল থেকে কিংবা আমাদের স্থানীয় নেতা কর্মীর মাধ্যমে।
মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যাক্ষ, গোগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মজিবর রহমান বলেন, এমপি মহোদয়ের হট লাইনটি গরীব মানুষের জন্য সময় উপযোগী পদক্ষেপ, মানুষ উপকৃত হচ্ছেন তিনি বিভিন্ন স্থানে গিয়ে জীবানুনাশক স্প্রে করছেন, ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামার্শ দিচ্ছে, জীবনের ঝঁকি নিয়ে এলাকায় গিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন। উনার এসব ভাল কাজগুলি প্রশংসিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।