যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
সীমান্তে বিএসএফ এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে সামাজিক মাধ্যমে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওই বর্বর হত্যাকাণ্ডে ফেইসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ। এই ঘটনায় বিএসএফের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন তারা।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার রতনীবাড়ি প্রধানপাড়া সীমান্তে। রোববার রাত সাড়ে আটটায় বিএসএফ’র গুলিতে গুরুত্বর আহত শিক্ষার্থী শিমন রায় (১৭) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকেলে রতনীবাড়ী প্রধানপাড়া সীমান্তের গ্রামের পরেশ চন্দ্র রায় ছেলে শিমুন রায়সহ ৭৬২ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের কাছে বাংলাদেশি এলাকায় নিজেদের পাটক্ষেত নেটের জাল দিয়ে ঘেরা দিচ্ছিল। বেলা তিনটার দিকে ভারতের সাকাতি সীমান্ত ফাঁড়ির একদল বিএসএফ সদস্য ঘটনাস্থল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে বেড়া দিতে নিষেধ করে। এসময় শিমুন রায় নিজের জমিতে বেড়া দিচ্ছে বলে জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক বেধে যায়। এক পর্যায়ে এক বিএসএফ সদস্য শিমুনকে খুব কাছে থেকে পেটের মধ্যে গুলি করে চলে যায়।
জিয়া উদ্দিন লিখেছেন, ‘‘কিসের পতাকা বৈঠক? বাংলাদেশ কি এজন্যই স্বাধীন হয়েছিল যে, ভারতের সীমান্তরক্ষী দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে এদেশের নিরীহ জনগনকে হত্যা করার জন্য? একজন স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷ পাশাপাশি সরকারকে বলবো তাদের কিসের এত দূর্বলতা যে এদেশের জনগনকে পাখির মত গুলি করে মারবে অথচ সরকার নিশ্চুপ? অপর দিকে বাংলাদেশ এর সীমান্তরক্ষীদের বলবো আপনারা হাতে চুরি পড়ে বসে থাকেন কেন? পাকিস্তানের মত একটা হত্যার পরিবতে' ৫টা হত্যা করুন, ভারতকে চরম শাস্তি দিন। তাদেরকে বুঝিয়ে দিন বীর বাঙালী দূর্বল কাপুরুষ নয় ৷আমরা আপনাদের কঠোর ভূমিকা দেখতে চাই, আর হত্যা দেখতে চাই না, এবার প্রতিশোধ চাই।’’
আয়শা মজিব প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘আমাদের বিডিআর থাকতে এভাবে বিএসএফ মারতে পারেনি। তাঁরা আমাদের জনগণকেও সাবধান করতো, এবং হত্যার বদলে হত্যাও করতো, লাশের বিনিময়ে লাশ দিতো! তাই আমাদের জনগণকে এতো মারতে পারতো না! বর্তমান বিজিবির সেই দেশপ্রেম'ই নাই! শুধু লাশ নিয়ে আসে! ওদের গায়ে রক্ত আছে কি না সন্দেহ আছে!’’
মোস্তফা রব লিখেছেন, ‘‘তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো এদেশের জন্য ফরজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের বিএসএফ জানোয়ারের মত যে আচরণ করছে তাহা নিতান্তই অন্যায়, কিন্তু আমরা কেন এর প্রতিবাদ করতে পারছিনা, জাতি হিসাবে কোথায় আমাদের দূর্বলতা?’’
মুন্না ভাই লিখেছেন, ‘‘আমি বুঝিনা আমাদের জনগণকে ওরা শুধু গুলি করে মারে, একদিনও শুনলাম না বিজিবি একজনকে গুলি করছে, না আমাদের বিজিবির বন্দুকে গুলি নাই।’’
নাহিদ মালিক লিখেছেন, ‘‘সরকার না পারলে ছেড়ে দিয়ে চলে যান। প্রতিবাদ করেন ওই সন্ত্রাসী মোদীর। বাঁচলে সিংহের মতো, বিড়ালের মতো নয়। আফগানিস্তান ১৯ বছর যুদ্ধ করলো, বিশ্বের নাম্বার ১ শক্তিশালী দেশ আমেরিকার সাথে, আমেরিকা লেজ গুটিয়ে চলে গেল মাত্র কদিন আগে। ভারতকে কিসের ভয় এই সরকারের?’’
বেলাল হোসাইন লিখেছেন, ‘‘আমরা যেন ইন্ডিয়ার কাশ্মীরের মত হয়ে গেছি, যখন খুশি তখন বাংলাদেশের ভিতরে ঢুকে বিএসএফ হত্যা করে চলে যাচ্ছে। অথচ আমরা নাকি স্বাধীন দেশের মানুষ। আর সরকার বাহাদুর নির্বাক যেন কিছুই হয় নাই। বিজিবি কি করে। জনগণের টাকা খেয়ে জনগণকে রক্ষা করতে পারে না।। এরকম বাহিনী দিয়া কি লাভ।। তাদের কাজ কি পতাকা বৈঠক করে লাশ গ্রহণ করা?’’
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।